পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক দুইদিকে প্রসারিত দেখি দুই বিপুল নিঃশব্দ, দুই বিরাট আধখানা,-- তারি মাঝখানে দাড়িয়ে শেষকথা বলে যাব— দুঃখ পেয়েছি অনেক, কিন্তু ভালো লেগেছে, ভালোবেসেছি । ছেচল্লিশ তখন আমার বয়স ছিল সাত । ভোরের বেলায় দেখতেম জানলা দিয়ে অন্ধকারের উপরকার ঢাকা খুলে আসছে, বেরিয়ে আসছে কোমল আলো । নতুন ফোট কাটালিচাপার মতে । বিছানা ছেড়ে চলে যেতেম বাগানে কাক ডাকবার আগে, পাছে বঞ্চিত হই কম্পমান নারকেল শাখাগুলির মধ্যে স্বর্ষোদয়ের মঙ্গলাচরণে । তখন প্রতিদিনটি ছিল স্বতন্ত্র, ছিল নতুন । ষে প্রভাত পূর্বদিকের সোনার ঘাট থেকে আলোতে স্নান করে আসত রক্তচন্দনের তিলক একে ললাটে, সে আমার জীবনে আসত নতুন অতিথি, হাসত আমার মুখে চেয়ে । — আগেকার দিনের কোনো চিহ্ন ছিল না তার উত্তরায়ে