পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >br রবীন্দ্র-রচনাবলী শুধাও যদি সবশেষে তার রইল কী ধন বাকি, স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি তা কি । জানি, এমন নাই কিছু যা পড়বে কারো চোখে, স্মরণ-বিস্মরণের দোলায় দুলবে বিশ্বলোকে । নয় সে মানিক, নয় সে সোনা,— যায় না তারে যাচাই করা, যায় না তারে গোনা । এই দেখো-না, শীতের রোদে দিনের স্বপ্নে বেন। সেগুন বনে সবুজ-মেশা সোনা, শজনে গাছে লাগল ফুলের রেশ, হিমঝুরির হৈমন্তী পালা হয়েছে নিঃশেষ । বেগনি ছায়ার ছোওয়া-লাগা স্তব্ধ বটের শাখা ঘোর রহস্তে ঢাকা । ফলসা গাছের ঝরা পাতা গাছের তলা জুড়ে হঠাৎ হাওয়ায় চমকে বেড়ায় উড়ে । গোরুর গাড়ি মেঠো পথের তলে । উড়তি ধুলোয় দিকের আঁচল ধূসর ক’রে চলে । নীরবতার বুকের মধ্যখানে দূর অজানার বিধুর বঁশি ভৈরবী সুর আনে । কাজভোলা এই দিন নীল আকাশে পাখির মতো নিঃসীমে হয় লীন । এরি মধ্যে আছি আমি, সব হতে এই দামি । কেননা আজ বুকের কাছে যায় যে জানা, আরেকটি সেই দোসর আমি উড়িয়ে চলে বিরাট তাহার ভানা জগতে জগতে অস্তবিহীন ইতিহাসের পথে । ঐ যে আমার কুয়োতলার কাছে সামান্ত ঐ আমের গাছে