পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংযোজন কখনো বা রৌদ্র খেলায়, কন্থ প্রাবণধার, সারা বরষ থাকে আপনহারা সাধারণ এই অরণ্যানীর সবুজ আবরণে, মাবের শেষে অকারণে স্বক্ষণকালের গোপন মন্ত্রবলে গভীর মাটির তলে শিকড়ে তার শিহর লাগে, শাখায় শাখায় হঠাৎ বাণী জাগে,— “আছি, আছি, এই যে আমি আছি ।” পুষ্পোচ্ছ্বাসে ধায় সে বাণী স্বৰ্গলোকের কাছাকাছি দিকে দিগন্তরে । চন্দ্র স্বৰ্ষ তারার আলো তারে বরণ করে । এমনি করেই মাঝে মাঝে সোনার কাঠি আনে —কভূ প্রিয়ার মুখ চোখে, কছু কবির গানে— অলস মনের শিয়রেতে কে সে অন্তর্ষামী ; to নিবিড় সত্যে জেগে ওঠে সামান্য এই আমি । যে আমিরে ধূসর ছায়ায় প্রতিদিনের ভিড়ের মধ্যে দেখা সেই আমিরে এক নিমেষের আলোয় দেখি একের মধ্যে এক । সে-সব নিমেষ রয় কি না রয় কোনোখানে, কেউ তাহাদের জানে বা না-ই জানে, । তবু তার জীবনে মোর দেয় তো আনি ক্ষণে ক্ষণে পরম বাণী অনন্তকাল যাহা বাজে বিশ্বচরাচরের মর্মমাঝে “আছি আমি আছি”— যে বাণীতে উঠে নাচি মহাগগন-সভাঙ্গনে আলোক-অঙ্গরী তারার মাল্য পরি। ছত্রিশ-সংখ্যক কবিতা তুলনীয়।