পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి3 রবীন্দ্র-রচনাবলী রাজকবি। ওই রে আবার ঘুরে ফিরে এলেন সেই 'অজানা’ সেই তোমার ‘নিরুদ্দেশ’। মহারাজ, আর দেরি নেই, আবার কান্না নামল বলে। , নটরাজ। ঠিক ঠাউরেছ। বোধ হচ্ছে চোখের জলেরই জিত। বর্ধার রাতে সাধিহারার স্বপ্নে অজানা বন্ধু ছিলেন অন্ধকার ছায়ায় স্বপ্নের মতো ; আজ বুঝি বা শ্রাবণের প্রাতে চোখের জলে ধরা দিলেন । মধুরিকা, ভৈরবীতে করুণ মুর লাগাও, তিনি তোমার হৃদয়ে কথা কবেন। বন্ধু, রহে রহে সাথে আজি এ সম্বন শ্রাবণপ্রাতে । ছিলে কি মোর স্বপনে সাথিহারা রাতে । বন্ধু, বেলা বৃথা যায় রে আজি এ বাদলে আকুল হাওয়ায় রে । কথা কও মোর হৃদয়ে হাত রাখে। হাতে । রাজা । কান্না হাসি বিরহ মিলন সব রকমই তো খণ্ড খণ্ড করে হল, এইবার বর্ষার একটা পরিপূর্ণ মূর্তি দেখাও দেখি । নটরাজ। ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন মহারাজ । নাট্যাচার্য, তবে ওইটে শুরু করে । o ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে, জলসিঞ্চিত ক্ষিতি-সৌরভ-রভসে, ঘনগৌরবে নবযৌবনা বরষা, গুম গভীর সরস। : গুরু গর্জনে নীল অরণ্য শিহুরে উতলা কলাপী কেকা-কলরবে বিহুরে ; নিখিল-চিত্ত-হুরষা ঘনগৌরবে আসিছে মত্ত বরষা। কোথা তোরা অয়ি তরুণী পথিক-ললনা, জনপদবন্ধু তড়িৎ-চকিত-নয়ন, মালতী-মালিনী কোথা প্রিয়-পরিচারিকা, কোথা তোরা অভিসারিকা ।