পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سیانان নটরাজ । ওই দেখুন শুকতারার ভাক পৃথিবীর বনে পৌঁছেছে। আকাশের আলোকের যে লিপি সেই লিপিটিকে ভাষান্তরে লিখে দিল ওই শেফালি । সে লেখার শেষ নেই, তাই বারে বারেই অশ্রান্ত ঝরা আর ফোট । দেবতার বাণীকে যে এনেছে মর্ত্যে, তার ব্যথা কজন বোঝে ? সেই করুণার গান সন্ধ্যার মুরে তোমরা ধরে । ওলো শেফালি, সবুজ ছায়ার প্রদোষে তুই জালিস দীপালি । তারার বাণী আকাশ থেকে তোমার রূপে লি একে শুশমল পাতায় থরে থরে আখর রূপালি । বুকের খসা গন্ধ-আঁচল রইল পাতা সে কাননবীথির গোপন কোণের বিবশ বাতাসে । সারাটা দিন বাটে বাটে নানা কাজে দিবস কাটে, আমার সাঝে বাজে তোমার করুণ ভূপালি । রাজা । নটরাজ, আমন শুকতারাতে শেফালিতে ভাগ করে করে শরৎকে দেখাবে কেমন করে ? নটরাজ। আর দেরি নেই, কবি ফাদ পেতেছে। যে মাধুরী হাওয়ায় হাওয়ায় আভাসে ভেসে বেড়ায় সেই ছায়ারূপটিকে ধরেছে কবি আপন গানে। সেই ছায়ারূপিণীর নূপুর বাজল, কঙ্কণ চমক দিল কবির সুরে, সেই স্বরটিকে তোমাদের কণ্ঠে জাগাও তো । যে-ছায়ারে ধরব বলে করেছিলেম পণ আজ সে মেনে নিল আমার গানেরি বন্ধন । আকাশে যার পরশ মিলায় শরৎ মেঘের ক্ষণিক লীলায় আপন মুরে আজ শুনি তার নূপুরগুজন । অলস দিনের হাওয়ায় গন্ধখানি মেলে যেত গোপন আসাযাওয়ায় । আজ শরতের ছায়ানটে মোর রাগিণীর মিলন ঘটে সেই মিলনের তালে তালে বাজার লে কঙ্কণ। নটরাজ। শুভ্ৰ শান্তির মূর্তি ধরে এইবার জামুন শরত্ৰ সজল হাওয়ার দোল