পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক । ঝরে-পড়া ফুলের ঘনগন্ধে আবিষ্ট আমার প্রাণ, চারদিকে তার স্বপ্ন মৌমাছি গুন গুন করে বেড়ায়, কোন অলক্ষ্যের সৌরভে । এই ছায়ার বেড়ায় বদ্ধ দিনগুলো থেকে বেরিয়ে আসুক মন শুভ আলোকের প্রাঞ্জলতায় । অনিমেষ দৃষ্টি ভেসে যাক কথাহীন ব্যথাহীন চিন্তাহীন স্বাক্টর মহাসাগরে । যাব লক্ষ্যহীন পথে, সহজে দেখব সব দেখা, শুনব সব সুর, চলন্ত দিনরাত্রির কলরোলের মাঝখান দিয়ে । আপনাকে মিলিয়ে নেব শস্তশেষ প্রাস্তরের সুদূরবিস্তীর্ণ বৈরাগ্যে । ধ্যানকে নিবিষ্ট করব ঐ নিস্তন্ধ শালগাছের মধ্যে , যেখানে নিমেষের অন্তরালে সহস্রবৎসরের প্রাণ নীরবে রয়েছে সমাহিত কাক ডাকছে তেঁতুলের ভালে, চিল মিলিয়ে গেল রৌদ্রপাণ্ডুর সুদূর নীলিমায় । বিলের জলে বাধ বেঁধে ডিঙি নিয়ে মাছ ধরছে জেলে । বিলের পরপারে পুরাতন গ্রামের আভাস, ফিকে রঙের নীলাম্বরের প্রান্তে বেগনি রঙের আঁচলা ।