পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>૧8 রবীন্দ্র-রচনাবলী । ষে মোর আলো লুকিয়ে আছে রাতের পারে আমায় দেখতে দাও । একজন অন্তঃপুররক্ষিণীর প্রবেশ রক্ষিণী। শোনে, শোনে, শ্ৰীমতী। মালতী। কেন নিষ্ঠুর হচ্ছ তোমরা । আর আমাদের যেতে ব লো না। আমরা দুটি মেয়ে এই উদ্যানের কাছে মাটির পরে বসে থাকি না—তাতে তোমাদের কী ক্ষতি হবে । রক্ষিণী । তোমাদেরই বা কী তাতে প্রয়োজন । মালতী। ভগবান বুদ্ধ যে-উষ্ঠানে একদিন প্রবেশ করেছিলেন তার শেষপ্রাস্তেও র্তার পদধূলা আছে। তোমরা যদি ভিতরে না যেতে দাও তাহলে আমরা এইখানে সেই ধুলায় বসে মনের মধ্যে র্তার জন্মোৎসব গ্রহণ করি—মন্ত্রও বলব না, অর্ঘ্যও দেব না | রক্ষিণী । কেন বলবে না মন্ত্র । বলো, বলে । শুনতেও পাব না এত কী পাপ করেছি। অন্য রক্ষিণীর দূরে আছে, এইবেল আজ পুণ্যদিনে শ্ৰীমতী তোমার মধুর কণ্ঠ থেকে প্রভুর স্তব শুনে নিই। তুমি জেনে আমি তার দাসী । যেদিন তিনি এসেছিলেন অশোকছায়ায় সেদিন আমি যে তাকে এই পাপচোখে দেখেছি তার পর থেকে আমার অস্তরে তিনি আছেন । শ্ৰীমতী । নমো নমো বুদ্ধ দিবাকরায় নমো নমো গোতম-চন্দিমায়, নমো নমো নস্তগুণন্নবায়, নমো নমো সাকিয়নন্দনায় ॥ রক্ষিণী, তুমিও আমার সঙ্গে সঙ্গে বলে। রক্ষিণী। আমার মুখে কি পুণ্যমন্ত্র বের হবে। শ্ৰীমতী । ভক্তি আছে হৃদয়ে, যা বলবে তাই পুণ্য হবে । বলে নমো নমো বুদ্ধ দিবাকরায় । [ ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করাইয়া লইল । রক্ষিণী । আমার বুকের বোঝা নেমে গেল শ্ৰীমতী, আজকের দিন আমার সার্থক