পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮= ২৯ नछेब्रांछ হেমন্ত হে হেমন্ত-লক্ষ্মী, তব চক্ষু কেন রুক্ষ চুলে ঢাকা, ললাটের চন্দ্রলেখা অযত্বে এমন কেন মান ? হাতে তব সন্ধ্যাদীপ কেন গে; আড়াল করে আন কুয়াশায় ? কণ্ঠে বাণী কেন হেন অশ্রুবাম্পে মাথা গোধূলিতে আলোতে আঁধারে ? দূর হিমশৃঙ্গ ছাড়ি ওই হেরে রাজহংসপ্রেণী, আকাশে দিয়েছে পাড়ি উজায়ে উত্তরবায়ুস্রোত, শীতে ক্লিষ্ট ক্লাস্ত পাখা মাগিছে আতিথ্য তব জাহ্নবীর জনশূন্ত তটে প্রচ্ছন্ন কাশের বনে । প্রাস্তরসীমায় ছায়াবটে মৌনত্রত বউ-কথা-কও । গ্রামপথ আঁকাবঁকা বেণুতলে পাস্থহীন অবলীন অকারণ ত্রাসে, কচিং চকিত-ধূলি অকস্মাং পবন উচ্ছ্বাসে । কেন বলো, হৈমস্তিকা, নিজেরে কুষ্ঠিত করে রাখা, মুখের গুণ্ঠন কেন হিমের ধূমলবর্ণে আঁকা । ভরেছ, হেমন্ত-লক্ষ্মী, ধরার অঞ্জলি পক ধানে । দিগঙ্গনে দিগঙ্গন এসেছিল ভিক্ষার সন্ধানে শীতরিক্ত অরণ্যের শূন্তপথে। বলেছিল ডাকি, “কোথায় গো, অন্নপূর্ণ, ক্ষুধার্তেরে অন্ন দিবে না কি ? শাস্ত করো প্রাণের ক্রন্দন, চাও প্রসন্ন নয়ানে ধরার ভাণ্ডার পানে।” শুনিয়া, লুকায়ে হাস্তখানি, লুকায়ে দক্ষিণ হস্ত দক্ষিণ দিয়েছ তুমি আনি, ভূমিগর্ভে আপনার দাক্ষিণ্য ঢাকিলে সাবধানে । স্বৰ্গলোক মান করি প্রকাশিলে ধরার বৈভব কোন মায়ামন্ত্রগুণে, দরিত্রের বাড়ালে cऔब्रव । 及之@