পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪

> 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ভেসে চলেছে আলোড়িত নক্ষত্রের ফেনপুঞ্জে ; অবশেষে যুগাস্তে তার তেমনি করেই গেছে যেমন গেছে বর্ষণশাস্ত মেঘ, যেমন গেছে ক্ষণজীবী পতঙ্গ । মহাকাল, সন্ন্যাসী তুমি । তোমার অতলস্পর্শ ধ্যানের তরঙ্গ-শিখরে উচ্ছ্বত হয়ে উঠছে স্বষ্টি আগবার নেমে যাচ্ছে ধ্যানের তরঙ্গতলে । প্রচণ্ড বেগে চলেছে ব্যক্ত অব্যক্তের চক্রনৃত্য, তারি নিস্তন্ধ কেন্দ্রস্থলে তুমি আছ অবিচলিত আনন্দে হে নির্মম, দাও আমাকে তোমার ঐ সন্ন্যাসের দীক্ষা । জীবন আর মৃত্যু, পাওয়! আর হারানোর মাঝখানে যেখানে আছে অক্ষুব্ধ শাস্তি সেই স্বষ্টি-ইোমগ্নিশিখার অন্তরতম স্তিমিত নিভৃতে দাও আমাকে আশ্রয় । ১৯ চৈত্র, ১৩৪১ অাট মনে মনে দেখলুম সেই দূর অতীত যুগের নিঃশব্দ সাধন যা মুখর ইতিহাসকে নিষিদ্ধ রেখেছে অণপন তপস্থতার আসন থেকে । 拳 দেখলেম দুর্গম গিরিব্রজে কোলাহল কৌতুহলী দৃষ্টির অন্তরালে অস্থৰ্যম্পশু নিতৃতে