পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ პა)® ঘটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানীও বটে। কিন্তু ভাগাভাগি করিয়া একজন নারী হুইল দাসী, আর একজন নারী হইল রানী ; তাহাতে দাসীর গৌরব গেল, রানীর মুখ । রছিল না । r কারণ, শৈলবালাও নারী-জীবনের যথার্থ মুখের স্বাদ পাইল না। এত অবিশ্রাম আদর পাইল যে, ভালোবাসিবার আর মুহূর্ত অবসর রহিল না। সমূত্রের দিকে প্রবাহিত হইয়া, সমূত্রের মধ্যে আত্মবিসর্জন করির বোধ করি নদীর একটি মহৎ চরিতার্থতা আছে, কিন্তু সমুদ্র যদি জোয়ারের টানে আকৃষ্ট হইয়া ক্রমাগতই নদীর উন্মুখীন হইয়া রহে, তবে নদী কেবল নিজের মধ্যেই নিজে ফীত হইতে থাকে। সংসার তাহার সমস্ত আদর সোহাগ লইয়া দিবারাত্রি শৈলবালার দিকে অগ্রসর হইয়া রছিল, তাহাতে শৈলবালার আত্মাদর অতিশয় উত্তঙ্গ হইয় উঠতে লাগিল, সংসারের প্রতি তাহার ভালোবাসা পড়িতে পাইল না । সে জানিল, আমার জন্যই সমস্ত এবং আমি কাহার জন্তও নহি । এ অবস্থায় যথেষ্ট অহংকার আছে কিন্তু পরিতৃপ্তি কিছুই নাই। & চতুর্থ পরিচ্ছেদ একদিন ঘনঘোর মেঘ করিয়া আসিয়াছে। এমনি অন্ধকার করিয়াছে যে, ঘরের মধ্যে কাজকর্ম করা অসাধ্য। বাহিরে ঝুপ ঝুপ করিয়া বৃষ্টি হইতেছে। কুলগাছের তলায় লতাগুন্মের জঙ্গল জলে প্রায় নিমগ্ন হইয়া গিয়াছে এবং প্রাচীরের পাশ্ববতী নাল। দিয়া ঘোলা জলস্রোত কলকল শব্দে বহিয়া চলিয়াছে। হরমুন্দরী আপনার নূতন শয়নগৃহের নির্জন অন্ধকারে জানলার কাছে চুপ করিয়া বসিয়া আছে। Q এমন সময় নিবারণ চোরের মতো ধীরে ধীরে দ্বারের কাছে প্রবেশ করিল, ফিরিয়া যাইবে কি অগ্রসর হইবে ভাবিয়া পাইল না। হরমুন্দরী তাহা লক্ষ্য করিল কিন্তু একটি কথাও কহিল না । তখন নিবারণ হঠাৎ একেবারে তীরের মতো হুরসুন্দরীর পার্শ্বে গিয়া এক নিশ্বাসে বলিয়া ফেলিল, “গোটাকতক গহনার আবশুক হইয়াছে। জান তো অনেকগুলো দেন। হইয়া পড়িয়াছে, পাওনাদার বড়োই অপমান করিতেছে—কিছু বন্ধক রাখিতে হুইবে— *ौज्रहे झांज्रांझेब्र ठहे८ऊ श्रांद्रिद ।” * $ হরসুন্দরী কোনো উত্তর দিল না, নিবারণ চোরের মতো দাড়াইয়া রহিল। অবশেষে পুনশ্চ কছিল, “তবে কি আজ হইবে না।” হরসুন্দরী কহিল, “না।” غنی مسموم