পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ রবীন্দ্র-রচনাবলী তার মাথা উঠেছে মেঘে-ঢাকা পাহাড়ের চুড়ায়, তার পা নেমেছে আঁধারে-ঢাকা গহবরে । এ যেন অগম্য গ্রহ এই আমার সত্তা, বাপ-আবরণে ফণক পড়েছে কোণে কোণে, দুরবীনের সন্ধান সেইটুকুতেই । যাকে বলতে পারি। আমার সবটা, তার নাম দেওয়া হয়নি, তার নকশা শেষ হবে কবে ? তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ব্যবহারের সম্পর্ক হবে করে ? নামটা রয়েছে যে-পরিচয়টুকু নিয়ে, টুকরো-জোড়া দেওয়া তার রূপ, অনাবিষ্কৃতের প্রাস্ত থেকে সংগ্ৰহ-কর । চারিদিকে ব্যর্থ ও সার্থক কামনার আলোয় ছায়ায় বিকীর্ণ আক tশ । সেখান থেকে নানা বেদনার রঙিন ছায়া নামে চিত্তভূমিতে ; হাওয়ায় লাগে শীত বসস্তের ছোওয়া ; সেই অদৃশ্বের চঞ্চল লীলা কণর কাছেই বা স্পষ্ট হল ? ভাষার অঞ্জলিতে কে ধরতে পারে তাকে ? জীবনভূমির এক প্রাস্ত দৃঢ় হয়েছে . কর্মবৈচিত্র্যের বন্ধুরতায়, অণর এক প্রাস্তে আচরিতার্থ সাধনা বাষ্প হয়ে মেঘায়িত হল শূন্তে, মরীচিক হয়ে আঁকছে ছবি । এই ব্যক্তিজগৎ মানবলোকে দেখা দিল জন্মমৃত্যুর সংকীর্ণ সংগমস্থলে ।