পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ዓ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী সোনার মেয়ে কি চিরক্সল আইবুড়ো হইয়া থাকিবে। ওগো, আমি কী কপাল করিয়াছিলাম।” ஆதர் অবশেষে রানী রাজাকে অনেক অকুনয় করিয়া বলিয়া পাঠাইলেন, “আমি আর কিছু চাহি না, তুমি একদিন কেবল আমার ঘরে আসিয়া খাইয়া যাও।” রাজা বলিলেন, “আচ্ছা।” 即 রানী তো সেদিন বহুষত্বে চৌষটি ব্যঞ্জন স্বহস্তে রাধিলেন এবং সমস্ত সোনার থালে ও রুপার বাটিতে সাজাইয়া চন্দনকাষ্ঠের পিড়ি পাতিয়া দিলেন । রাজকন্ত চামর হাতে করিয়া দাড়াইলেন । W. রাজা আজ বারো বৎসর পরে অন্তঃপুরে ফিরিয়া আসিয়া খাইতে বসি লন । রাজকন্যা রূপে আলো করিয়া দাড়াইয়া চামর করিতে লাগিলেন । মেয়ের মুখের দিকে চান আর রাজার খাওয়া হয় না। শেষে রানীর দিকে চাহিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ই গো রানী, এমন সোনার প্রতিম লক্ষ্মীঠাকরুনটির মতো এ মেয়েটি কে গা । এ কাহাদের মেয়ে ।” রানী কপালে করাঘাত করিয়া কহিলেন, “হা আমার পোড়া কপাল । উহাকে চিনিতে পারিলে না ? ও যে তোমারই মেয়ে ।” রাজা বড়ো আশ্চর্য হইয়া বলিলেন, “আমার সেই সেদিনকার এতটুকু মেয়ে আজ এত বড়োটি হইয়াছে ?” রানী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “তা আর হইবে না ! বল কী, আজ বারো বৎসর হইয়া গেল।” রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন, “মেয়ের বিবাহ দাও নাই ?” রানী কহিলেন, “তুমি ঘরে নাই উহার বিবাহ কে দেয়। আমি কি নিজে পাত্র খুজিতে বাহির হইব।” রাজা শুনিয়া হঠাৎ ভারি শশব্যস্ত হইয়া উঠিয়া বলিলেন, “রসো আমি কাল সকালে উঠিয়া রাজদ্বারে যাহার মুখ দেখিব তাহারই সহিত উহার বিবাহ দিয়া দিব ।” রাজকন্যা চামর করিতে লাগিলেন। র্তাহার হাতের বালাতে চুড়িতে ঠুং ঠাং শব্দ হইতে লাগিল। রাজার আহার হইয়া গেল । পরদিন ঘুম হইতে উঠিয়া বাহিরে আসিয়া রাজা দেখিলেন, একটি ব্রাহ্মণের ছেলে রাজবাড়ির বাহিরে জঙ্গল হইতে শুকনা কাঠ সংগ্ৰহ করিতেছে । তাহার বয়স বছর সাত-আট হইবে। ங்ா H রাজা বলিলেন, ইহারই সহিত আমার মেয়ের বিবাহ দিব । রাজার হুকুম কে