পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক তার আলোকহীন প্রদেশে বৃহৎ অগোচরতায় পুঞ্জিত আছে আত্মবিস্থত শক্তি, মূল্য পায়নি এমন মহিমা, অনঙ্কুরিত সফলতার বীজ মাটির তলায় । সেখানে আছে ভীরুর লজ্জা, । প্রচ্ছন্ন আত্মবিমাননা, অখ্যাত ইতিহাস, আছে আত্মাভিমানের ছদ্মবেশের বহু উপকরণ,— সেখানে নিগৃঢ় নিবিড় কালিম অপেক্ষা করছে মৃত্যুর হাতের মার্জন । এই অপরিণত অপ্রকাশিত আমি, এ কার জন্তে, এ কিসের জন্তে ? যা নিয়ে এল কত স্থচনা, কত ব্যঞ্জনা, বহু বেদনায় বাধা হতে চলল যার ভাষা, পৌছল না যা বাণীতে, তার ধ্বংস হবে অকস্মাৎ নিরর্থকতার অতলে, সইবে না স্বষ্টির এই ছেলেমাহুষি । অপ্রকাশের পর্দা টেনেই কাজ করেন গুণী ঃ ফুল থাকে কুঁড়ির অবগুণ্ঠনে, শিল্পী আড়ালে রাখেন অসমাপ্ত শিল্পপ্রয়াসকে ; কিছু কিছু আভাস পাওয়া যায়, নিষেধ আছে সমস্তটা দেখতে পাওয়ার পথে । আমাতে র্তার ধ্যান সম্পূর্ণ হয়নি, তাই আমাকে বেষ্টন ক’রে এতখানি নিবিড় নিস্তব্ধতা । তাই আমি অপ্রাপ্য, আমি অচেনা ; ఏ