পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক তার মধ্যে থেকে দেখা যায় ** গেরুয়া পাথরের চতুমুখ মূর্তি । সে আছে প্রবহমান কালের দূর তীরে . 配 উদাসীন ; ঋতুর স্পর্শ লাগে না তার গায়ে । - শিল্পের ভাবা তার, . গাছপালার বাণীর সঙ্গে কোনো মিল নেই । ধরণীর অস্তঃপুর থেকে যে শুশ্রুষা দিনে রাতে সঞ্চারিত হচ্ছে সমস্ত গাছের ডালে ভালে পাতায় পাতায়, ঐ মূর্তি সেই বৃহৎ আত্মীয়তার বাইরে । মানুষ আপন গৃঢ় বাক্য অনেক কাল আগে যক্ষের মৃত ধনের মতো ওর মধ্যে রেখেছে নিরুদ্ধ করে, প্রকৃতির বাণীর সঙ্গে তার ব্যবহার বন্ধ । সাতটা বাজল ঘড়িতে । ছড়িয়ে-পড়া মেঘগুলি গেছে মিলিয়ে । স্বৰ্ষ উঠল প্রাচীরের উপরে, ছোটো হয়ে গেল গাছের যত ছায়া । খিড়কির দরজা দিয়ে মেয়েটি ঢুকল বাগানে । পিঠে দুলছে ঝালরওআলী বেণী, হাতে কঞ্চির ছড়ি ; চরাতে এনেছে একজোড়া রাজহাস, আর তার ছোটো ছোটো ছানাগুলিকে । ইসি দুটো দাম্পত্য দায়িত্বের মর্যাদায় গম্ভীর, সকলের চেয়ে গুরুতর ঐ মেয়েটির দায়িত্ব S్చలి