পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سطواني প্রকৃতির অধীন, আমরা विश्ववाने अनख নিয়মপরম্পরার बाबा চালিত,—এখানে । আমাদের পূর্ণ মুখ নাই, এখানে বাহিরের তাড়নাই আমাদিগকে কাজ করায়। আমাদের মধ্যে যেখানে একটি সমাপ্তির দিক আছে, ষে পরিমাণে সেইখানকার সঙ্গে আমাদের এই ব্যাপ্তির যোগসাধন হইতে থাকিবে সেই পরিমাণেই আমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হইয়া উঠিতে থাকিবে । তখন আমার শরীর আমারই বশীভূত শরীর, আমার মন আমারই বশীভূত মন হইয়া উঠিবে। তখন সৰ্বমাত্মবশং মুখম্। তখন আমার শরীর মনের বহু বিচিত্র নিয়ম আমার এক আনন্দের অমুগত হইয়া মুন্দর হইয়া উঠিবে। তাহার বহুত্বের দুঃসহ ভার একের মধ্যে বিন্যস্ত হইয়া সহজ হইয়া যাইবে । কিন্তু যেখানে তাহার সমাপ্তির দিক্‌, যেখানে তাহার সমগ্র একের দিক সধানেও কি তাহার সমস্তাটি নাই ? আছে বই কী। সেখানেও মানুষের আপন, আপনার চেয়ে বড়ো আপনার সঙ্গে মিলিতে চাহিতেছে। মানুষ যখনই আত্মবশ হইয়া আপনার আনন্দকে পায় তখনই বড়ো আনন্দকে সর্বত্র দেখিতে পায়। সেই বড়ো আত্মাকে দেখাই আত্মার স্বভাব, সেই বড়ো আনন্দকে জানাই আত্মানন্দের সহজ প্রকৃতি । মানুষের শরীর বড়ো শরীরকে সহজে দেখিয়াছে, মানুষের মন বড়ো মনকে সহজে দেখিয়াছে, মানুষের আত্মা বড়ে আত্মাকে সহজে দেখে । o এইখানে পৌঁছানো, এইখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যে চেষ্টা তাহাকেই আমরা ধর্ম বলি। বস্তুত ইহাই মানবের ধর্ম ; মানুষের ইহাই স্বভাব, ইহাই তাহার সত্যতম চেষ্টা । বীরের ধর্ম বীরত্ব, রাজার ধর্ম রাজত্ব-মানুষের ধর্ম ধর্মই—তীহাকে আর কোনো নাম দিবার দরকার করে না । মাকুষের সকল কর্মের মধ্যে সকল স্বষ্টির মধ্যে এই ধর্ম কাজ করিতেছে। অন্য সকল কাজের উদ্বেগু হাতে হাতে বোঝা যায়—ক্ষুধা নিবারণের জন্ত খাই, শীতনিবারণের জন্য পরি কিন্তু ধর্মের উদ্দেশুকে তেমন করিয়া চোখে আঙুল দিয়া বুঝাইয়া দিবার জো নাই। কেননা, তাহা কোনে সাময়িক ভাবের জন্ত নহে, তাহ মানুষের যাহা কিছু সমস্তের গভীরতম মূলগত। এইজন্য কোনো বিশেষ মানুষ তাহাকে ক্ষণকালের জন্য তুলিতে পারে, কোনো বিশেষ বুদ্ধিমান তর্কের দিক হইতে তাহাকে অস্বীকার করিতে পারে—কিন্তু সমস্ত মানুষ তাহাকে ত্যাগ করিতে পারে না । মানুষের ইতিহাসে মানুষের সকল প্রয়োজনের মধ্যে, তাহার সমস্ত কাড়াকড়ি মারামারি তাহার সমস্ত ব্যস্ততার মাঝখানে এই ধর্ম রহিয়াই গিয়াছে – তাহা অন্নপান নহে, বসনভূষণ নহৈ, খ্যাতিপ্রতিপত্তি নহে, তাহা এমন কিছুই নছে ৰাহকে বাদ দিলে মানুষের আবশ্বকের হিসাবে একটু কিছু গরমিল হয় ; তাহাকে বাদ