পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক বড়ো সীমানার মধ্যে মধ্যে ছোটো ছোটো কালের পরিমণ্ডল আঁকা হচ্ছে মোছা হচ্ছে । বুদ্ধদের মতো উঠল মহেন্দজারে, মরুবালুর সমুদ্রে, নিঃশব্দে গেল মিলিয়ে। সুমেরিয়া, আসরিয়া, ব্যাবিলন, মিসর, দেখা দিল বিপুল বলে কালের ছোটো-বেড়া-দেওয়া ইতিহাসের রঙ্গস্থলীতে, কাচা কালির লিখনের মতে। লুপ্ত হয়ে গেল অস্পষ্ট কিছু চিহ্ন রেখে । তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো ছুটেছিল পতঙ্গের মতো অসীম দুলক্ষ্যের দিকে । বীরের বলেছিল অমর করবে সেই আকাঙ্ক্ষার কীর্তিপ্রতিমা ; তুলেছিল জয়স্তম্ভ। কবির বলেছিল, অমর করবে সেই আকাঙ্ক্ষার বেদনাকে, রচেছিল মহাকবিতা । সেই মুহূর্তে মহাকাশের অগণ্য-যোজন পত্রপটে লেখা হচ্ছিল ধাবমান আলোকের জলদক্ষরে সুদূর নক্ষত্রের হোমহতাগ্নির মন্ত্রবাণী । so সেই বাণীর একটি একটি ধ্বনির উচ্চারণ কালের মধ্যে ভেঙে পড়েছে যুগের জয়ন্তস্ত, 8ථ