পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q> 。 ' রবীন্দ্র রচনাবলী অর্থাৎ ইহাতে তো হাতের কাজের নৈপুণ্য দেখিলাম, চোখে দেখার বৈচিত্র্য দেখিলাম, কিন্তু ইহার মধ্যে চিত্তের কোন রূপ দেখা যাইতেছে—ইহার ভিতর হইতে মন মনের . কাছে কোন লিপি পাঠাইতেছে ? দেখিলাম একটা গাছ-কিন্তু গাছ তো ঢের দেখিয়াছি, এ গাছের অস্তরের কথাটা কী, অথবা যে আঁকিল গাছের মধ্য দিয়া তার অস্তরের কথাটা কী সেটা যদি না পাইলাম তবে গাছ আঁকিয়া লাভ কিসের ? অবশু উদ্ভিদতত্বের বইয়ে যদি গাছের নমুনী দিতে হয় তবে সে আলাদা কথা। কেননা সেখানে সেটা চিত্র নয় cगन्नै मूडेखि । শুধু রূপ শুধু ভাব কেবল আমাদের গোচর হয় মাত্র। “আমাকে দেখো” “আমাকে জানো” তাহদের দাবি এই পর্যন্ত । কিন্তু “আমাকে রাখে” এ দাবি করিতে হইলে আরও কিছু চাই। মনের আম-দরবারে আপন-আপন রূপ লইয়া ভাব লইয়া নানা জিনিস হাজির হয়, মন তাহাদের কাহাকেও বলে, “বসো,” কাহাকেও বলে “আচ্ছা যাও”। যাহারা আর্টিস্ট তাহদের লক্ষ্য এই যে, তাহাদের স্বই পদার্থ মনের দরবারে নিত্য আসন পাইবে । যে সব গুণীর স্বষ্টিতে রূপ আপনার প্রমাণে, ভাব আপনার লাবণ্যে, প্রতিষ্ঠিত হইয়া আসিয়াছে তাহারাই ক্লাসিক হইয়াছে, তাহারাই নিত্য হইয়াছে। অতএব চিত্রকলার ওস্তাদের ওস্তাদি, রূপে ও ভাবে তেমন নয়, যেমন প্রমাণে ও লাবণ্যে। এই সত্য-ওজনের আন্দাজটি পুথিগত বিস্তায় পাইবার জো নাই। ইহাতে স্বাভাবিক প্রতিভার দরকার। দৈহিক ওজনবোধটি স্বাভাবিক হইয়া উঠিলে তবেই চলা সহজ হয়। তবেই নূতন নূতন বাধায়, পথের নূতন নূতন আঁকেবাকে আমরা দেহের গতিটাকে অনায়াসে বাহিরের অবস্থার সঙ্গে তানে লয়ে মিলাইয়া চলিতে পারি। এই ওজনবোধ একেবারে ভিতরের জিনিস যদি না হয় তবে রেলগাড়ির মতো একই বাধা রাস্তায় কলের টানে চলিতে হয়, এক ইঞ্চি ডাইনে বায়ে হেলিলেই সর্বনাশ। তেমনি রূপ ও ভাবের সম্বন্ধে যার ওজনবোধ অস্তরের জিনিস সে “নব-নবোন্মেষশালিনী বুদ্ধি"র পথে কলাস্থষ্টিকে চালাইতে পারে। যার সে বোধ নাই সে ভয়ে ভয়ে একই বাধা রাস্তায় ঠিক এক লাইনে চলিয়া পটাে হইয়া কারিগর হইয় ওঠে, সে সীমার সঙ্গে সীমার নূতন সম্বন্ধ জমাইতে পারে না। এই জন্ত নূতন সম্বন্ধমাত্রকে সে বাঘের মতো দেখে | k 敬 যাহা হউক এতক্ষণ ছবির যড়ঙ্গের আমরা দুটি অঙ্গ দেখিলাম, বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গ । এইবার পঞ্চম অঙ্গে বাহির ও ভিতর যে-কোঠায় এক হইয়া মিলিয়াছে তাহার কথা আলোচনা করা যাক। সেটার নাম "সাদৃশুং”। নকল করিয়া ষে সাপ্ত ছেলে এতক্ষণে সেই কথাটা আসিয়া পড়িল এমন যদি কেহ মনে করেন তবে শাস্ত্রবাক্য র্তাহার