পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミ● রবীন্দ্র-রচনাবলী বাহিরে স্বই হইবার কামনা করে। ইহাই মানুষের সকল স্বাক্টর গোড়ার কথা । এই জন্তই মানুষের স্বটিতে ভিতর বাহিরের ঘাত প্রতিঘাত। এই জন্য মানুষের স্বাক্টতে বাহিরের জগতের আধিপত্য আছে। কিন্তু একাধিপত্য যদি থাকে, যদি প্রকৃতির ধাম-ধর হওয়াই কোনো আর্টিস্টের কাজ হয় তবে তার দ্বারা স্থটিই হয় না । শরীর বাহিরের খাবার খায় বটে কিন্তু তাহাকে অবিকৃত বমন করিবে বলিয়া নয় । নিজের মুধ্যে তাহার বিকার জন্মাইয়া তাহাকে নিজের করিয়া লইবে বলিয়া। তখন সেই খাদ্য একদিকে রসরক্তরূপে বাহ আকার, আর-এক দিকে শক্তি স্বাস্থ্য সৌন্দৰ্যরূপে আন্তর আকার ধারণ করে। ইহাই শরীরের স্বষ্টিকার্য। মনের স্বষ্টিকার্বও এমনিতরো । তাহা বাহিরের বিশ্বকে বিকারের দ্বারা যখন আপনার করিয়া লয় তখন সেই মানস পদার্থটা একদিকে বাক্য রেখা মুর প্রভৃতি বাহ আকার, অন্যদিকে সৌন্দর্য শক্তি প্রভৃতি আন্তর আকার ধারণ করে। ইহাই মনের স্বষ্টি-যাহ দেখিলাম অবিকল তাহাই দেখানে স্বষ্টি নহে। ' 曹 তারপরে, ছবিতে যেমন বর্ণিকভঙ্গং কবিতায় তেমনি ব্যঞ্জন ( suggestiveness ) । এই ব্যঞ্জনার দ্বারা কথা আপনার অর্থকে পার হইয়া যায়। যাহা বলে তার চেয়ে বেশি বলে । এই ব্যঞ্জনা ব্যক্ত ও অব্যক্তর মাঝখানকার মীড় । কবির কাব্যে এই ব্যঞ্জনা বাণীর নির্দিষ্ট অর্থের দ্বারা নহে, বাণীর অনির্দিষ্ট ভঙ্গির দ্বারা, অর্থাৎ বাণীর রেখার দ্বারা নহে, তাহার রঙের দ্বারা স্বস্ট হয়। আসল কথা, সকল প্রকৃত আর্টেই একটা বাহিরের উপকরণ, আর একটা চিত্তের উপকরণ থাকা চাই—অর্থাৎ একটা রূপ আর একটা ভাব । সেই উপকরণকে ংযমের দ্বারা বাধিয়া গড়িতে হয় ; বাহিরের বাধন প্রমাণ, ভিতরের বাধন লাবণ্য । তার পরে সেই ভিতর বাহিরের উপকরণকে মিলাইতে হইবে কিসের জন্য ? সাদৃপ্তের জন্য। কিসের সঙ্গে সাদৃপ্ত ? না, ধ্যানরূপের সঙ্গে কল্পরূপের সঙ্গে সাদৃত । বাহিরের রূপের সঙ্গে সাদৃপ্তই যদি মুখ্য লক্ষ্য হয় তবে ভাব ও লাবণ্য কেবল ষে অনাবশ্বক হয় তাহা নহে, তাহা বিরুদ্ধ হইয়া দাড়ায়। এই সাদৃশুটিকে ব্যঞ্জনার রঙে রঙাইতে পারিলে সোনায় সোহাগা—কারণ তখন তাহা সাদৃপ্তের চেয়ে বড়ো হইয়া ওঠে,—তখন তাহা কতটা যে বলিতেছে তাহ স্বয়ং রচয়িতাও জানে না-তখন স্বষ্টিকর্তার স্বটি তাহার ংকল্পকেও ছাড়াইয়া যায়। " 靜 অতএব, দেখা যাইতেছে ছবির যে ছয় অঙ্গ, সমস্ত আর্টের অর্থাৎ আননারূপেরই তাই । >లిసిన