পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कडांब्र हैछझांग्न कर्म ¢8ማ মানুষের পক্ষে সকলের চেয়ে বড়ে কথাটাই এই যে, কর্তৃত্বের অধিকারই মছুক্ষত্বের অধিকার । নানা মন্ত্রে, নানা শ্লোকে, নানা বিধিবিধানে এই কথাটা যে-দেশে চাপ পড়িল, বিচারে পাছে এতটুকু ভুল হয় এই জন্ত যে-দেশে মাম্বুব আচারে আপনাকে আষ্টেপিষ্টে বাধে, চলিতে গেলে পাছে দূরে গিয়া পড়ে এইজন্য নিজের পথ নিজেই ভাঙিয়া দেয়, সেই দেশে ধর্মের দোহাই দিয়া মানুষকে নিজের পরে অপরিসীম অশ্রদ্ধা করিতে শেখানো হয় এবং সেই দেশে দাস তৈরি করিবার জন্ত সকলের চেয়ে বড়ো কারখানা খোলা হইয়াছে। i আমাদের রাজপুরুষেরাও শাস্ত্রীয় গাম্ভীর্ষের সঙ্গে এই কথাই বলিয়া থাকেন, “তোমরা ভুল করিবে, তোমরা পরিবে না, অতএব তোমাদের হাতে কর্তৃত্ব দেওয়া চলিবে না ।” 噬 আর যাই হ’ক, মহু-পরাশরের এই আওয়াজটা ইংরেজি গলায় ভাৱি বেসুর বাজে, তাই আমরা তাদের ষে-উত্তরটা দিই সেটা তাদেরই সহজ সুরের কথা। আমরা বলি, ভুল করাটা তেমন সর্বনাশ নয় স্বাধীনকর্তৃত্ব না পাওয়াটা যেমন । ভুল করিবার স্বাধীনতা থাকিলে তবেই সত্যকে পাইবার স্বাধীনতা থাকে। নিখুঁত নিভুল হইবার আশায় যদি নিরঙ্কুশ নিজাব হইতে হয় তবে তার চেয়ে না হয় ভুলই করিলাম। আমাদের বলিবার আরও কথা আছে। কর্তৃপক্ষদের এ-কথাও স্মরণ করাইতে পারি যে, আজ তোমরা আত্মকর্তৃত্বের মোটর গাড়ি চালাইতেছ কিন্তু একদিন রাত-থাকিতে যখন গোরুর গাড়িতে যাত্রা শুরু হইয়াছিল তখন থালখন্দর মধ্য দিয়া চাকা দুটোর আর্তনাদ ঠিক জয়ধ্বনির মতো শোনাইত না। পার্লামেন্ট বরাবরই ডাইনে বায়ে প্রবল বাঁকানি খাইয়া এক নজির হইতে অার এক নজিরের লাইন কাটিতে কাটিতে আসিয়াছে, গোড়াগুড়িই স্টীমরোলার-টানা পাকা রাস্ত পায় নাই। কত ঘুষঘাষ, ঘুম্বাধুষি, দলাদলি, অবিচার এবং অব্যবস্থার মধ্য দিয়া সে হেলিয়া হেলিয়া চলিয়াছে। কখনো রাজা, কখনো গির্জা, কখনো জমিদার, কখনো বা মদওয়ালারও স্বাৰ্থ বহিয়াছে । এমন এক সময় ছিল সদস্তের যখন জরিমান ও শাসনের ভয়েই পালামেণ্টে হাজির হইত। আর গলদের কথা যদি বল, কবেকার কালে সেই আয়ালগু আমেরিকার সম্বন্ধ হইতে আরম্ভ করিয়া আজকের দিনে বোম্বার যুদ্ধ এবং ভার্ডানেলিস মেসোপোটেমিয়া পর্যন্ত গলদের লম্বা ফর্দ দেওয়া যায় ; ভারতবিভাগের ফর্দটাও নেহাত ছোটো নয়—কিন্তু সেটার কথায় কাজ নাই। আমেরিকার রাষ্ট্ৰতন্ত্রে কুবের দেবতার চরগুলি যে-সকল কুকীর্তি করে সেগুলো সামান্ত নয়। ড্রেসের নিখুঁতন উপলক্ষ্যে ফ্রান্সের রাষ্ট্ৰতন্ত্রে সৈনিক-প্রাধান্তের ষে অক্ষায় প্রকাশ পাইয়াছিল তাহাতে রিপুর অক্ষশক্তিরই তো হাত দেখা যায় ।