পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" রবীন্দ্র-রচনাবলী আমার এতকালের কাছের জগতে আমি ভ্রমণ করতে বেরিয়েছি দূরের পথিক । তার আধুনিকের ছিন্নতার ফাকে ফাকে দেখা দিয়েছে চিরকালের রহস্ত । সহমরণের বধু - বুঝি এমনি ক’রেই দেখতে পায় মৃত্যুর ছিন্নপর্দার ভিতর দিয়ে নূতন চোখে চিরজীবনের অম্লান স্বরূপ । চবিবশ আমার ফুলবাগানের ফুলগুলিকে বাধব না আজ তোড়ায়, ংবেরঙের সুতোগুলো থাকৃ, থাকু পড়ে ঐ জরির ঝালর । শুনে ঘরের লোকে বলে, “যদি না বাধ জড়িয়ে জড়িয়ে ওদের ধরব কী করে, ফুলদানিতে সাজাব কোন উপায়ে ?” আমি বলি, “আজকে ওরা ছুটি-পাওয়া নটী, ওদের উচ্চহাসি অসংযত, ওদের এলোমেলো হেলাদোলা বকুলবনে অপরাহ্লে, চৈত্রমাসের পড়ন্ত রৌদ্রে । আজ দেখে। ওদের যেমন-তেমন খেলা, শোনো ওদের যখন-তপন কলধ্বনি, তাই নিয়ে খুশি থাকে।”