পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক চোখে যেন স্তন্ধ আছে সকালবেলার তীর্থযাত্রীর গান । মুকুমার উজ্জল দেহ, দেবশিল্পী কুঁদে বের করেছে বিদ্যুতের বাটালি দিয়ে । বয়স তার আঠারো কি উনিশ হবে, শালগাছের চারা, *; উঠেছে ঋজু হয়ে, তবু এখনো হেলতে পারে দক্ষিণের হাওয়ায় । প্রাণের অজস্রতা দেহে মনে রয়েছে কানায় কানায় ভরা । বেঁধে আনলে তাকে । সভার সমস্ত চোখ ওর মুখে তাকাল বিস্ময়ে করুণায় । ক্ষণেকের জন্ত্যে ঘাতকের খড়গ যেন চায় বিমুখ হতে 鲁 এমন সময় রাজধানী থেকে এল দূত, হাতে সৈয়দ আবদুল্লা খায়ের স্বাক্ষর-করা মুক্তিপত্র । যখন খুলে দিলে তার হাতের বন্ধন, বালক শুধাল, আমার প্রতি কেন এই বিচার ? গুনল, বিধবা মা জানিয়েছে শিখধর্ম নয় তার ছেলের, বলেছে, শিখেৱ। তাকে জোর করে রেখেছিল বন্দী ক'রে । Գ Տ