পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ রবীন্দ্র-রচনাবলী ক্ষোভে লজণয় রক্তবর্ণ হল বালকের মুখ । বলে উঠল, “চাইনে প্রাণ মিথ্যার কৃপায়, সত্যে আমার শেষ মুক্তি, আমি শিখ ।” চৌত্রিশ পথিক আমি । পথ চলতে চলতে দেখেছি পুরাণে কীর্তিত কত দেশ আজ কীর্তি-নিঃস্ব । দেখেছি দপোদ্ধত প্রতাপের অবমানিত ভগ্নশেষ, তার বিজয় নিশান বজ্রাঘাতে হঠাৎ স্তব্ধ অট্টহাসির মতো গেছে উড়ে ; বিরাট অহংকার হয়েছে সাষ্টাঙ্গে ধুলায় প্রণত, সেই ধুলার পরে সন্ধ্যাবেলায় ভিক্ষুক তার জীর্ণ র্কাথা মেলে বসে, পথিকের শ্রাস্ত পদ সেই ধুলায় ফেলে চিহ্ন,— অসংখ্যের নিত্য পদ পাতে সে চিহ্ন যায় লুপ্ত হয়ে । দেখেছি সুদূর যুগান্তর বালুর স্তরে প্রচ্ছন্ন, যেন হঠাৎ ঝঞ্চার ঝাপটা লেগে কোন মহাতরা হঠাৎ ডুবল ধূসর সমুদ্রতলে, সকল আশা নিয়ে, গান নিয়ে, স্মৃতি নিয়ে