পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক এমন সময় মাঘের শেষে হঠাৎ মাটির নিচে শিকড়ে শিকড়ে তার শিহর লাগে, শাখায় শাখায় মুকুলিত হয়ে ওঠে বাণী— “আমি আছি,” চন্দ্রস্বর্ধের আলো আপন ভাষায় স্বীকার করে তার সেই ভাষা । অলস মনের শিয়রে দাড়িয়ে হাসেন অন্তর্যামী, হঠাৎ দেন ঠেকিয়ে সোনার কাঠি প্রিয়ার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টি দিয়ে, কবির গানের সুর দিয়ে তখন যে-আমি ধূলিধূসর সামান্ত দিনগুলির মধ্যে মিলিয়ে ছিল, সে দেখা দেয় এক নিমেষের অসামান্য আলোকে । সে-সব দুমূল্য নিমেষ কোনো রত্নভাণ্ডারে থেকে যায় কি না জানিনে ; এইটুকু জানি— তারা এসেছে আমার আত্মবিস্কৃতির মধ্যে, জাগিয়েছে আমার মর্মে বিশ্বমর্মের নিত্যকালের সেই বাণী “আমি আছি ।” সাইত্রিশ বিশ্বলক্ষ্মী, তুমি একদিন বৈশাখে বসেছিলে দারুণ তপস্তায় রদ্রের চরণতলে । ጓ¢