পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক অামার মধ্যে হাসির কলরব আজিও থামল না । বেদীর থেকে নেমে আসি, রঙ্গমঞ্চে বসে বাধি নাচের গান, তার বায়না নিয়েছি প্রভুর কাছে । কবিতা লিখি, তার পদে পদে ছন্দের ভঙ্গিমায় তারুণ্য ওঠে মুখর হয়ে, বিঝিট খাম্বাজের ঝংকার দিতে আজো সে সংকোচ করে না । আমি হষ্টিকর্তী. পিতামহের রহস্ত-সখী । তিনি অর্বাচীন নবীনদের কাছে প্রবীণ বয়সের প্রমাণ দিতে ভুলেই গেছেন । তরুণের উচ্ছঙ্খল হাসিতে উতরোল তার কৌতুক, তাদের উদাম নৃত্যে বাজান তিনি দ্রুততালের মৃদঙ্গ । র্তার বজ্ৰমন্দ্ৰিত গাম্ভীর্ষ মেঘমেছর অম্বরে, অজস্র তার পরিহাস বিকশিত কাশবনে, শরতের অকারণ হাস্তহিল্লোলে । তার কোনো লোভ নেই প্রধানদের কাছে মর্যাদা পাবার ; তাড়াতাড়ি কালো পাথর চাপা দেন না চাপল্যের ঝরনার মুখে । তার বেলাভূমিতে । ভঙ্গুর সৈকতের ছেলেমাহুৰি প্রতিবাদ করে না সমুদ্রের।