পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O রবীন্দ্র-রচনাবলী এই বাণী অনুভব করেছেন, যুক্তাত্মনঃ সর্বমেবাবিশন্তি। পরিপূর্ণের যোগে সকলেরই মধ্যে প্রবেশাধিকার আত্মার শ্রেষ্ঠ অধিকার। আমি তীকে বলে এলুম— আত্মার বাণী বহন করে আপনি আমাদের মধ্যে বেরিয়ে আসবেন এই অপেক্ষায় থাকব। সেই বাণীতে ভারতের নিমন্ত্রণ বাজবে, শৃশ্বস্তু বিশ্বে। প্রথম তপোবনে শকুন্তলার উদবােধন হয়েছিল যৌবনের অভিঘাতে প্ৰাণের চাঞ্চলে। আন্দোলনের মধ্যে যে তপস্যার আসনে দেখেছিলুম। সেখানে তাকে জানিয়েছি— আজ তাকে দেখলুম তীর দ্বিতীয় তপস্যার আসনে, অপ্ৰগলভ স্তব্ধতায়— আজও তাকে भान भान दाल ७qब्लूभ— অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহাে নমস্কার। শান্তিলি জাহাজ S述 Q >&sbr প্রবাসী थीदsों ७७१ , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংবর্ধনা উপলক্ষে শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্মাননা সভায় বাংলা দেশের সকল পাঠকের অভিনন্দনের সঙ্গে আমার অভিনন্দন বাক্যকে আমি সম্মিলিত করি। আজও সশরীরে পৃথিবীতে আছি, সেটাতে সময় লঙ্ঘনের অপরাধ প্ৰত্যাহাঁই প্রবল হচ্ছে সে কথা স্মরণ করাবার নানা উপলক্ষ সর্বদাই ঘটে, আজ সভায় সশরীরে উপস্থিত থেকে সকলের আনন্দে যোগদান করতে পারলুম না। এও তারই মধ্যে একটা। বস্তুত আমি আজ অতীতের প্রাস্তে এসে উত্তীৰ্ণ- এখানকার প্রদোযান্ধকার থেকে ক্ষীণ কর প্রসারিত করে তঁাকে আমার আশীৰ্বাদ দিয়ে যাই, যিনি বাংলা সাহিত্যের উদয়শিখরে আপনি প্রতিভাজ্যোতি বিকীর্ণ করবেন। ইতি ২.৯ ভাঢ় ১৩৩৫ কৰ্দ্ধৈােল আশ্বিন ১৩৩৫ শরৎচন্দ্ৰ নর্মাল স্কুলে সীতার বনবাস পড়া শেষ হল। সমাসদার্পণ ও লোহারামের ব্যাকরণের যোগে তার পরীক্ষাও দিয়েছি। পাস করে থাকব। কিন্তু পারিতোষিক পাই নি। যাঁরা পেয়েছিলেন তারা সওদাগরি আপিস পার হয়ে আজ পেনসন ভোগ করছেন। এমন সময় বঙ্গদর্শন বাহির হল। তাতে নানা বিষয়ে নানা প্ৰবন্ধ বেরিয়েছিল- তখনকার মননশীল পাঠকেরা আশা করি তার মর্যাদা বুঝেছিলেন। তঁদের সংখ্যা এখনকার চেয়ে তখন যে বেশি ছিল তা নয়, কিন্তু প্ৰভেদ এই যে, তখনকার পাঠকেরা এখনকার মতো এত বেশি প্রশ্ৰয় পান নি। মাসিক পত্রিকা, বলতে গেলে, ওই একখানিই ছিল। কাজেই সাধারণ পাঠকের মুখরোচক সামগ্ৰীীর বরাদ্দ অপরিমিত ছিল না। তাই পড়বার মনটা অতিমাত্র বিলাসী হয়ে যায় নি। সামনে পাত সাজিয়ে যা-কিছু দেওয়া যেত তার কিছুই প্ৰায় ফেলা যেত না। পাঠকদের