পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাটক ও প্রহসন S\ኃፄ दूभूनिनी। ना लाल, श् नि फूल। বিপ্ৰদাস। তা হলে আমি কথা পাঠিয়ে দিই? কুমুদিনী। হাঁ, পাঠিয়ে দাও। দ্বিতীয় অঙ্ক প্রথম দৃশ্য অখিল। নবুকাকা! নবগোপাল। কী রে অখিল ? অখিল। তোমাদের বর বয়সেও যেমন শিবের সমতুল্য, তার ব্যবহারটাও দেখি সেই রকমের। এল বিয়ে করতে, সঙ্গে আনলে রাজ্যের ভূতপ্রেতের দল, ওর যত-সব ফিরিঙ্গি ইয়ারের ফৌজ। গ্রামটাকে শোধন করতে শেষকালে গোবর মিলবে না। গোরুগুলোকে বেবাক৷ খেয়ে নিকেশ করে না দেয়। নবগোপাল। দেখ-না অখিল, অস্ত্রানের সাতাশে পড়েছে বিয়ের দিন, এখনো দিন দশেক বাকি। এমন সময়ে লোকমুখে জানা গেল রাজা আসছে দলবল নিয়ে। বিয়ে নয় যেন লড়াই করতে আসছে— একখানা চিঠি লিখেও খবর দেয় নি। মনে ঠাউরেছে, ভদ্রতা করবে। সাধারণ লোকে, গুমার করে অভদ্রতা করবে। রাজা-রাজড়া। অখিল। সে কী খুড়ো, রাজা বলো কাকে? ও কিসের রাজা ? সরকার বাহাদুর ওকে রাজার মুখোশ পরিয়ে এক চােট হেসে নিয়েছেন। ও সরকারি যাত্রার দলের সঙ রাজা। সত্যিকার রাজা তো আমাদের বড়োবাবু, সেইজন্যেই মিথ্যে রাজার খেতাবে ওঁর দরকার হয় না। নবগোপাল। আমার দাদা তো মহা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, স্থির করলেন স্টেশনে গিয়ে অভ্যর্থনা করে আনা চাই। আমি বললেম এ হতেই পারে না। ও যখন অগ্রাহ্য করে খবরই দিলে না তখন আমরা গায়ে পড়ে গিয়ে ওর খবর নেব। এ চলবে না। ওঁর গাড়ির কোচম্যানকে বলে দিয়েছি কম্বলমুড়ি দিয়ে হাসপাতালে পড়ে থাকতে। দাদা বলে কি না, অভদ্রতায় পাল্লা দেওয়া আমাদের বংশের ধারা নয়— আমরা জিতবা ভদ্রতায়। আমি জোড় হাত করে বললুম, ভদ্রতারও বাড়াবাড়ি ভালো নয়। অতি দৰ্পে হত। লঙ্কা সত্য হতে পারে, কিন্তু অতি আদৰ্পে হত নুরনগরই কি মিথ্যে হবে ? অখিল। খুড়ো, তুমি ভাবিছ বড়োবাবুকে তুমি ঠেকাতে পেরেছ? তিনি রাত দশটার পরে ঘোড়ায় চড়ে সাত ক্রোশ পথ পেরিয়ে স্টেশনে গিয়ে হাজির। রাত্তির একটার পর গাড়ি এল, তার পরে ভাবী ভগ্নীপতির সঙ্গে তোমার দাদার যে সদালাপ হল সে স্টেশনমাস্টারের কাছেই শুনতে পাবে। নবগোপাল। কী রকম শুনি! 姊 অখিল। সেলুন থেকে রাজা নামলে বুক ফুলিয়ে দলবল সমেত। বড়োবাবুকে দেখে সংক্ষেপে একটা শুকনো নমস্কার করে বললে, “আপনার আসবার কী দরকার ছিল? আমি তো খবর দিই নি।” বড়োবাবু বললেন, “আমার দেশে এই তোমার প্রথম আসা, অভ্যর্থনা করব না?” রাজা বলে উঠল, “ভুল করছেন, আপনার দেশে এখনো আসি নি। আসব বিয়ের দিনে।” বড়োবাবু বুঝলেন, সুবিধে নয়, বললেন, ‘খাওয়াদাওয়ার জিনিসপত্র তৈরি, বজরা আছে ঘাটে।” লোকটা জবাব দিলে, “কিছু দরকার হবে না। আমার স্টীম লঞ্চ প্ৰস্তুত। একটা কথা মনে রাখবেন, এসেছি আমারই পূর্বপুরুষের জন্মভূমিতে, আপনার দেশে নয়। সাতাশে তারিখে সেখানে যাবার কথা।” সেই রাত্রেই বড়োবাবু ফিরে এলেন— তার পর দিন থেকে জুর, গায়ে ব্যথা, একেবারে শয্যাগত। নবগোপাল। কী আর বলব! সাত জন্মের পাপে কন্যাকর্তা হয়ে জন্মেছি, অযোগ্যের ল্যাজের >br || > S