পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S SC) রবীন্দ্র-রচনাবলী শ্যামাসুন্দরী এসে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রইল। গর্জন করে মধুসূদন। এসো বলছি, শিগগির চলে এসো। ন্যাকামি কোরো না। টেবিলের উপর ছবি ছিল, কী হল? অত্যন্ত বিস্ময়ের ভান ক’রে শ্যামাসুন্দরী। ছবি! করি ছবি! ক্রুদ্ধ স্বরে মধুসূদন। ছবিটা দেখ নি! ভালোমানুষের মতো মুখ ক’রে শ্যামাসুন্দরী। না, দেখি নি তো! গর্জন করে মধুসূদন। মিথ্যে কথা বলছ! শ্যামাসুন্দরী। মিথ্যে কথা কেন বলব, ছবি নিয়ে আমি করব কী? মধুসূদন। কোথায় রেখেছ বের করে নিয়ে এসো বলছি! নইলে ভালো হবে না! শ্যামাসুন্দরী। ওমা, কী আপদ! তোমার ছবি আমি কোথায় পাব যে বের করে আনব? মধুসূদন। কেদার! [ভূত্যের প্রবেশ] কেদার। মহারাজ! মধুসূদন। মেজোবাবুকে ডেকে আন। [ভূত্যের প্রস্থান নবীনের প্রবেশ বড়োবউকে আনিয়ে নাও। শ্যামাসুন্দরী মুখ বঁকিয়ে কাঠের পুতুলের মতো চুপ করে বসে রইল। খানিকক্ষণ পরে মাথা চুলকোঁতে চুলকোঁতে নবীন। দাদা, ওখানে একবার কি তোমার নিজে যাওয়া উচিত হবে না? তুমি আপনি গিয়ে যদি বল তা হলে বউরানী খুশি হবেন। গুড়গুড়ি টেনে । মধুসূদন। আচ্ছা, কাল রবিবার আছে, কাল যাব। শ্যামাসুন্দরী ও মধুসূদনের প্রস্থান মোতির মা’র প্রবেশ মোতির মা। তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। . . . নবীন। পলকে পলকে হারােচ্ছ! প্রয়োজনটা কী? . মোতির মা। আমার প্রয়োজন নয়, তোমারই প্রয়োজন। তোমার খাবার যে ঠাণ্ডা হয়ে এল। নবীন। আমার মনটাও সেইরকম। মোতির মা। কেন বলে তো? . . . . নবীন। দৈবাৎ একটা ভালো কাজ করে ফেলেছি।