পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় RSS) চিস্তা ছিল। তিনি “শান্তিনিকেতন' নামে ইংরাজিতে যে বই লিখিয়াছেন তাহার লভ্যাংশ এই হাসপাতালের সাহায্যকল্পে দান করিয়াছেন। ইহা ছাড়া তিনি বিদেশ হইতে মাঝে মাঝে হাসপাতাল ফন্ডে সাময়িক দানও পাঠাইয়াছেন। তঁহার সেই টাকায় হাসপাতালের নানারকম সংস্কার করা হইয়াছে। ইহাতে বোঝা যায় হাসপাতালের উন্নতি করা তাহার আন্তরিক ইচ্ছা ছিল। সেইজনা শ্ৰীযুক্ত এভুজ সাহেব সকলকে জানাইলেন যে মিঃ পিয়ার্সনের নামে এখানে একটি চিকিৎসালয় খোলা হইবে। ইহার এক অংশে গরীব গ্রামবাসী দিগকে বিনা পয়সায় ঔষধ দান ও চিকিৎসা করা হইবে। পূজনীয় গুরুদেবও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়াছেন।” বর্তমান রচনাটি রবীন্দ্রনাথ লেখেন এই হাসপাতালের উন্নতিকল্পে সাধারণের কাছে অর্থসাহায্য প্রার্থনা করিয়া। “প্রবাসী’তে মুদ্রণের পূর্বেই ১৭ কর্তিক ১৩৩০ আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘পরলোকগত পিয়ার্সন সাহেব শিরোনামে রচনাটি প্রকাশ করিয়া বিশ্বভারতীর অর্থসচিবের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। ২১. মাঘ ১৩৩০-সংখ্যা “শান্তিনিকেতন'-এর আশ্রম সংবাদ'-এ লেখা হয় : “৯ই পৌষ |১৩৩০। আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের শ্ৰাদ্ধবাসীর ও খৃষ্টাৎসব উপলক্ষে মন্দিরে উপাসনা হয়। পূজনীয় গুরুদেব আচার্যের আসন হইতে একটি অতি সুন্দর মর্মস্পশী উপদেশ দিয়াছিলেন। তিনি আশ্রমবন্ধু স্বৰ্গীয় পিয়ার্সন সাহেবের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। বর্তমান রচনাটি তাঁহারই লিখিত রূপ। ২২. মনীষী রাজনারায়ণ বসুর দৌহিত্র ও ড. কৃষ্ণধন ঘোষের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মনােমোহন ঘোষ (১৮৬৯-১৯২৪) বাল্যকালাবধি ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেন। সেখানেই তিনি ইংরেজিতে কবিতা লিখিতে শুরু করেন ও সহপাঠী কবিবন্ধুদের সহিত একত্রে একটি কবিতা-সংকলন প্রকাশ করিয়া কবি হিসাবে স্বীকৃতি পান। সরকারি শিক্ষাবিভাগে যোগ দিয়া তিনি ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে দেশে ফেরেন। দীর্ঘকাল তিনি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপকররূপে কাজ করেন। ৯ মার্চ ১৯২৪ তারিখে য়ুনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে তাহার অকালপ্রয়াণে শোকজ্ঞাপনের জন্য একটি সভা হয়। সেখানে সভাপতির ভাষণে রবীন্দ্ৰনাথ যাহা বলেন, বর্তমান রচনাটি তাহার অনুলেখন। সাহিতা আকাদেমি -প্রকাশিত মনোমোহন ঘোষের Selected Poems (1974) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের ভাষণটির সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত -কৃত ইংরেজি অনুবাদ সংযোজিত হইয়াছে। ২৩. ব্ৰতচারী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সিভিলিয়ান গুরুসদয় দত্ত (১৮৮২-১৯৪১) পত্নী সরোজনলিনীর (১৮৮৭-১৯২৪) মৃত্যুর পর সরোজ-নলিনী' নামে তাহার একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী রচনা করিয়া প্ৰকাশ করেন (১৯২৬)। গুরুসদয় যখন বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন, তখন তিনি কয়েকবারই পত্নীকে লইয়া শান্তিনিকেতনে গিয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করিয়াছিলেন এবং শ্ৰীনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের গ্রামসেবামূলক কাজকর্মে সহায়তা করিতেন। এই সূত্রে তঁহাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপিত হয়। পত্নীর জীবনীগ্রন্থ রচনা করিয়া গুরুসদয় রবীন্দ্রনাথের নিকট একটি ভূমিকা' প্রার্থনা করিলে তিনি ২০ অগ্রহায়ণ ১৩৩২ তারিখে যাহা লিখিয়া দেন তাহা তাহার হস্তলিপিচিত্রকারে भूधिउ २ || S३ रेष्ठे খৃষ্টাব্দে A Woman of india নামে ইংল্যান্ড হইতে গ্রন্থটির একটি ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়, রবীন্দ্রনাথের ভূমিকাটি অনূদিত হইয়া উহাতে যুক্ত হইয়াছে। ২৪. নাটােরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় (১৮৬৮-১৯২৬) রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। পাখোয়াজ-বাজানোয় তাহার দক্ষতা ছিল, রবীন্দ্রনাথের গান ও আবৃত্তির সহিত তাহার পাখোয়াজ-সংগীতের বর্ণনা অনেকের স্মৃতিকথায় পাওয়া যায়। মানসী ও মর্মবাণী মাসিকপত্রের তিনি অন্যতর সম্পাদক ছিলেন। ৫ জানুয়ারি ১৯২৬ তারিখে তাহার জীবনাবসান ঘটিলে রবীন্দ্রনাথ ইহাতে মুদ্রণের জন্য বর্তমান রচনাটি লিখিয়া দেন। ২৫. লর্ড সত্যেন্দ্ৰপ্ৰসন্ন সিংহ (১৮৬৩-১৯২৮) শান্তিনিকেতনের নিকটবতী রায়পুরের জমিদার-পরিবারের সন্তান। ব্যারিস্টার হিসাবে অনন্যসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়া তিনি বহু