পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় S&G কবি তঁহাকে আশীৰ্বাদ করিয়া একটি বাণী পাঠ করেন।” রচনাটি অগ্রহায়ণ ১৩৩৬-সংখ্যা ‘বিচিত্রায় শরৎচন্দ্রের প্রতি' শিরোনামে মুদ্রিত হয়। ৩১. মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী (১৮৬০-১৯২৯) কাশিমবাজারের রাজবাহাদুর কৃষ্ণনাথ রায়ের ভাগিনেয় ছিলেন। নিঃসস্তান অবস্থায় কৃষ্ণনাথের মৃত্যু হইলে মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ ৩০ মে ১৮৯৮ তারিখে মাতুলের সম্পত্তির অধিকারী হইয়া মহারাজা উপাধি লাভ করেন। তিনি দানশীল ছিলেন, শিক্ষাবিস্তারে ও অন্যান্য সৎকর্মে তিনি বহু লক্ষ টাকা দান করিয়াছিলেন। ১৯০৬ সালে সরকারি উৎপীড়নে বরিশালে প্রথম প্রাদেশিক বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন পণ্ড হইলে তঁহারই আহবানে ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে কাশিমবাজারে এই সম্মেলন প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এই সূত্রে রবীন্দ্রনাথের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ পরিচয় স্থাপিত হইল। এই বৎসরই মহারাজ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করিবার জন্য আপার সাকুলার রোডের উপর সাত কাঠা জমি দান করেন, রবীন্দ্রনাথ তাহার অন্যতম ট্রাস্ট ছিলেন। পরে রমেশ ভবন নির্মাণের জন্য তিনি পরিষদগৃহের সংলগ্ন আরও সাত কাঠা জমি দান করেন। শাস্তিনিকেতন ব্ৰহ্মচর্যাশ্রমের সংস্কৃতাধ্যাপক হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে একটি বাংলা অভিধান বঙ্গীয় শব্দকোষ’ সংকলন করিতে উদ্যোগী হইয়া অর্থকষ্টের সম্মুখীন হইলে রবীন্দ্রনাথ মহারাজ মণীন্দ্ৰচন্দ্রের নিকটে তাহার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেন। মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ হরিচরণের জন্য মাসিক পঞ্চাশ টাকা বৃত্তি দিতে স্বীকৃত হন। দীর্ঘ তেরো বৎসর তিনি এই দানসাহায্য অব্যাহত রাখেন ও প্রধানত তাঁহারই অর্থানুকূল্যে ১৩৩০ সালে উক্ত বিশাল অভিধান রচনা সমাপ্ত হয়। ২৫ কীর্তিক ১৩৩৬ (১১ নভেম্বর ১৯২৯) মহারাজ মণীন্দ্ৰচন্দ্রের জীবনাবসান হইলে রবীন্দ্রনাথ তঁহারই প্রতিষ্ঠিত উপাসনা’ পত্রিকার সম্পাদকের অনুরোধে পত্রিকাটির মণীন্দ্র-স্মৃতি-সংখ্যা’র (অগ্রহায়ণ ১৩৩৬) জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলিটি লিখিয়া দেন। ৩২. মহামহােপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর (১৮৫৩-১৯৩১) সহিত রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগের ইতিহাস বহুবিস্তৃত। ১৭ নভেম্বর ১৯৩১ তারিখে হরপ্রসাদের জীবনাবসান ঘটিলে ৬ ডিসেম্বর বগীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দিরে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে একটি বিরাট শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে ১৫ অগ্রহায়ণ ১৩৩৮ তারিখে রবীন্দ্রনাথ একটি প্রবন্ধ লিখিয়া উদ্যোক্তাগণের নিকট প্রেরণ করেন ও ড. যদুনাথ সরকার সেটি সভাস্থলে পাঠ করেন। সম্পূর্ণ প্ৰবন্ধটি সভার পরের দিন অর্থাৎ ২১ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) ‘আনন্দবাজার পত্রিকায় ও নানা কথা'র অন্তর্গত হইয়া পৌষ ১৩৩৮-সংখ্যা বিচিত্রায় মুদ্রিত হয়। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রভবনে রচনাটির একটি খসড়া পাণ্ডুলিপি রক্ষিত আছে। ৩৩. মহামহােপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ আরও একটি দীর্ঘ প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন, রবীন্দ্রভবনে তাহার পাণ্ডুলিপি রক্ষিত আছে; যতদূর জানা যায়, সম্পূর্ণ রচনাটি সেই সময়ে মুদ্রিত হয় নাই; সত্যজিৎ চৌধুরী প্রমুখ -সম্পাদিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী স্মারকগ্রন্থ (আষাঢ় ১৩৯৫)-তে ইহা প্রথম সংকলিত হয়। বর্তমান খণ্ডে এই পাঠটিই মুদ্রিত হইল। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ হরপ্রসাদ-সংবর্ধন-লেখমালা’ নাম দিয়া একটি গ্রন্থধারার সূচনা করে, তাহার প্রথম খণ্ডটি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জীবৎকালে প্রকাশিত হইয়াছিল। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও নরেন্দ্রনাথ লােহা-র সম্পাদনায় গ্রন্থটির দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশের সময়ে রবীন্দ্রনাথ উল্লিখিত রচনাটির কিয়দংশ ও ‘বিচিত্রায় প্রকাশিত প্ৰবন্ধটির কিয়দংশ মিলাইয়া এবং শেষ অনুচ্ছেদটি মৃত্তন করিয়া লিখিয়া ভূমিকা'র পাঠটি নির্মাণ করেন। শেষ অনুচ্ছেটি এখানে উদ্ধৃত হইল : শাস্ত্রী মহাশয়ের পঞ্চসপ্ততিতম বর্ষ উপলক্ষে বিশিষ্ট লোকগণের নিকট থেকে ভারত-তত্ত্ব বিষয়ে প্রবন্ধ সংগ্ৰহ ক’রে লেখমালা-গ্রন্থ প্রকাশের আয়োজন হয়। বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ এই কাজের ভার গ্রহণ করেন। শাস্ত্রী মহাশয়ের জীবিতকালে এই গ্রন্থের প্রথম খণ্ড বার হয়েছিল। তীর পরলোক গমনের প্রায় এক বৎসর পরে এখন এই দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হ’ল। এই সাধু >b 川 So