পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○OO রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমার প্রস্তাব অনুসারে তোমাকে এই দানের মধ্যস্থ করে নেওয়া গেল।” সম্ভবত বঙ্কিমচন্দ্রের শতবাৰ্ষিক জন্মদিবসে (২৬ জুন ১৯৩৮ : ১১ আষাঢ় ১৩৪৫) ইহা যুগান্তর” দৈনিক পত্রিকাতে भूथिङ श्श। ৪৮. বিশ্বভারতীর ইসলামিক বিভাগের অধ্যাপক মৌলানা জিয়াউদ্দিন ( ?১৯০৩-৩৮) অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে কলেজ ত্যাগ করিয়া বিশ্বভারতীতে ভর্তি হন ও রুশ পণ্ডিত বাগদানভোর নিকট ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ গ্ৰহণ করেন। ইহার পরে কিছুকাল কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পর তিনি বিশ্বভারতীর ইসলামিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপকের পদে যোগ দেন। গ্ৰীষ্মের ছুটিতে স্বগৃহ অমৃতসরে গিয়া ৩ জুলাই ১৯৩৮ টাইফয়েড বােগে মাত্র ৩৫ বৎসর বয়সে তাহার মৃত্যু হয়। কালিম্পঙ হইতে শান্তিনিকেতনে ফিরিয়া আসিয়া ৮ জুলাই ১৯৩৮ রবীন্দ্রনাথ আশ্রমবাসীদের নিকট জিয়াউদ্দিনের স্মৃতিচারণ করেন। একই দিনে তিনি “মৌলানা জিয়াউদ্দিন” নামে একটি কবিতাও লেখেন (দ্র নবজাতক’)। ৪৯. বিখ্যাত অসমীয়া সাহিত্যিক লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া (১৮৬৮-১৯৩৮) ঠাকুরীপরিবারেব আত্মীয় ছিলেন, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয়া কন্যা প্রজ্ঞাসুন্দরীর সহিত তাহার বিবাহ হইয়াছিল । ২৬ মার্চ ১৯৩৮ তাহার মৃত্যু হয়। রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ৩০ আগস্ট ১৯৩৮ তারিখে লিখিত রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধার্ঘ্যের একটি প্রতিলিপি হইতে জানা যায়, ইহা আসামের ঘোড়হাটের কমলেশ্বর চালিহাকে প্রেরিত হইয়াছিল। মূল রচনাটির লিপিচিত্র মে ১৯৯৮-সংখ্যা ‘গরীয়সী' পত্রিকা; উষারঞ্জন ভট্টাচার্যের ‘রবীন্দ্রনাথ আরু অসম' প্রবন্ধে মুদ্রিত হইয়াছে। ৫০. মুস্তাফা কামাল পাশা (১৮৮১-১৯৩৮) ১৯২৩ সালে তুরস্কের সুলতানকে গদিচ্যুত করিয়া সেখানে গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হইয়া তিনি আমৃত্যু দেশ শাসন করিয়াছিলেন। তঁহার প্রধান কীর্তি প্রশাসনে ধর্মের প্রভাব খর্ব করা, সামাজিক গোড়ামি ও কুসংস্কার দূরীকরণ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করিয়া নারীসমাজকে মুক্তিদান। ১৯৩৫ সালে তাঁহাকে ‘আতাতুক' উপাধি দেওয়া হয়, যাহার অর্থ তুর্কি জাতির জনক। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৮ নিখিল ভারত প্ৰগতি লেখক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন ভবানীপুর আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে আরম্ভ হয়। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এশিয়ার ইতিহাসে কামাল আতাতুর্কের স্থান আলোচনা কবিয়া একটি প্রবন্ধ লিখিয়া প্রেরণ করেন। এই প্ৰবন্ধ পাঠ কবিয়া সম্মেলনের কার্যারম্ভ হয়। ৫১. ব্ৰাহ্মনেতা, নববিধান' সমাজের কেশবচন্দ্র সেনের (১৮৩৮-১৮৮৪) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই বাণীটি লিখিয়া দেন। রবীন্দ্রভবনে মূল রচনাটি রক্ষিত আছে। ইহা পূবে কোথাও মুদ্রিত হইয়াছিল কি না জানা নাই। ৫২. ত্রিপুরার মহারাজ বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য ৭ জানুয়ারি ১৯৩৯ (২২ পৌষ ১৩৪৫৷৷ শান্তিনিকেতনে আসিলে অপরাস্তুে আম্রকুঞ্জে তাঁহাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সেখানে স্বস্তিবাচন ও নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের পর রবীন্দ্রনাথ তাহার লিখিত ভাষণটি পাঠ করেন। do. Ernest Binfield Havel (svvx-ss08) sv8 v 777 frev osef To স্কুলের অধ্যক্ষ পদে যোগ দিয়া বাংলার শিল্পকলার ইতিহাসে নুতন যুগের প্রবর্তন করেন। সেখানে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ছাত্রদের বিদেশী ছবির নকল করা শিক্ষার পরিবর্তে ভারতীয় রীতির শিল্পচর্চার পদ্ধতি প্রয়োগ করা তাঁহারই কৃতিত্ব। এই উদ্দেশ্যে তিনি অবনীন্দ্রনাথকে আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ করিয়া লইয়া আসেন। ইহার জন্য তঁহাকে ইংরেজ ও ভারতবাসী উভয় দিক হইতেই বাধা পাইতে হইয়াছে। ভারতীয় শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও পৃষ্ঠপােষকতা করিবার জন্য ১৯১০ সালে লন্ডনে যে ইন্ডিয়া সোসাইটি" প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহার উদযোক্তাদের মধ্যে হ্যাভেন ছিলেন অন্যতম। এই সূত্রেই রবীন্দ্রনাথের সহিত তাহার সংযোগ হইয়াছিল। হ্যাভেলের সংগ্ৰহ বহু ভারতীয় চিত্র-ভাস্কর্য ও আধুনিক ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসের বহু উপকরণ সঞ্চিত ছিল।