পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ම්oS তাহার মৃত্যুর পর তাহার স্ত্রী লিলি হ্যাভেল সেগুলি বিশ্বভারতীকে দান করিতে চাহিলে রবীন্দ্রনাথ তাহা সাদরে গ্রহণ করিয়া সেগুলি রক্ষা করিবার জন্য কলাভবনে হ্যাভেল মেমোরিয়াল হল নির্মাণ করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ তারিখে পাটনা হাইকোর্টের ভূতপূর্ব বিচারপতি প্ৰফুল্লরঞ্জন দাশ এই স্মৃতিমন্দিরের উদবোধন করেন। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ভাষণের নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় -কৃত অনুলিপি বক্তা কর্তৃক পুনর্লিখিত’ হইয়া মুদ্রিত হয়। & 8. Charles Freer Andrews (Sv“ »-)8o) gåYRFTIR3 sa 4 sz(Girl ydy R খৃষ্টাব্দে লন্ডনে তাহার সহিত পরিচিত হইবার পর আন্ডরুজ দিল্লির সেন্ট স্টিফেন’স কলেজের উপাধ্যক্ষের পদ ও মিশনারি-বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া প্ৰথমে শাস্তিনিকেতন ব্ৰহ্মচর্যাশ্রম ও পরে বিশ্বভারতীর সেবায় যোগ দেন। অবশ্য তঁহার কর্মক্ষেত্র অনেক বিস্তুত ছিল। ভারতে ও ভারতের বাহিরে নিপীড়িত ভারতবাসীর প্রয়োজনের সময়ে তিনি সর্বদাই তাহদের পার্শ্বে গিয়া দাঁড়াইয়াছেন। ৫ এপ্রিল ১৯৪০ তারিখে তাহার জীবনাবসান হয়। কলিকাতায় তঁহাকে সমাধিস্থ কবিবার সময়ে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন মন্দিরে উপাসনা করিয়া যাহা বলেন নির্মলচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় তাহার অনুলেখন নেন। ৫৫. ত্রিপুরার মহারাজা রাধাকিশোর মাণিক্য (?১৮৫৬-১৯০৯) ১৮৯৭ হইতে ১৯০৯ ত্রিপুরার রাজপরিবারের সহিত রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক গড়িয়া উঠে, বাধাকিশোরের সময়ে তাহা সর্বাধিক গভীর হয়। তিনি শাস্তিনিকেতন ব্ৰহ্মচর্যাশ্রমের জন্য ও রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত “বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার জন্য রাজকোয় হইতে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ করিয়া দিয়াছিলেন। তাহার রাজত্বকালে রবীন্দ্রনাথ পাঁচবার ত্রিপুরা-ভ্ৰমণে গিয়াছিলেন। ১২ মার্চ ১৯০৯ তারিখে কাশীতে এক মোটরদুৰ্ঘটনায় মাত্র ৫৩ বৎসর বয়সে রাধাকিশোর মাণিক্যের মৃত্যু হয়। তাহার মৃত্যুতে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সহিত রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ক্ষীণ হইয়া আসিলেও সম্পূর্ণ ছিন্ন হয় নাই। ইহার পরও তিনি দুইবার ত্রিপুরায় গিয়াছিলেন। তাহার অশীতিতম বয়ঃক্ৰম পূর্তি উপলক্ষে ২৫ বৈশাখ ১৩৪৮ ত্রিপুরার তৎকালীন মহারাজা বীরবিক্ৰমকিশোর মাণিকা বিশেষ দরবার অনুষ্ঠানে ববীন্দ্রনাথকে "ভারতভাস্কর” উপাধিতে ভূষিত করেন। তাহার বিশেষ দূত হিসাবে প্রেরিত ভূপেন্দ্ৰচন্দ্র চক্রবর্তী ৩০ বৈশাখ উত্তরায়ণে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে এই রাজকীয় সনদ রবীন্দ্রনাথের হস্তে প্ৰদান করিলেন। ত্রিপুরার রাজপরিবার, বিশেষত মহারাজা বীরচন্দ্র ও রাধাকিশোর মণিক্যের সহিত নিজের সম্পর্ক বিবৃত করিয়া রবীন্দ্রনাথ যে ভাষণ মুখে-মুখে বলিয়া ও টাইপ করাইয়া স্বাক্ষর কবিয়া দিয়াছিলেন তাহার পুত্র রথীন্দ্রনাথ তাহা সভায় পাঠ করেন! ৫৬. প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬) রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন, পরে ভ্রাতুষ্পপুস্ত্রী ইন্দিরা দেবীর সহিত তাহার বিবাহ হইলে উভয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রেরণাতেই প্রমথ চৌধুরী ১৩২১ বঙ্গাব্দে সবুজপত্র' পত্রিকা প্রকাশ করেন, যে-পত্রিকা বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। প্রমথনাথের সপ্ততিতম জয়ন্তীব আয়োজন চলিতেছে জানিতে পারিয়া রবীন্দ্রনাথ ৪ এপ্রিল ১৯৪১ মুখে-মুখে বলিয়া উপহার জন্য একটি অভিনন্দনপত্রের খসড়া প্ৰস্তুত করেন। পরে যখন জানিতে পারিলেন এই উপলক্ষে তাহার গল্প-সংগ্ৰহ প্ৰকাশিত হইবে, তখন তিনি ১৩ এপ্রিল উক্ত বিষয়েও একটি অনুচ্ছেদ যোগ করিয়া দেন। প্রিয়রঞ্জন সেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত 'গল্প-সংগ্ৰহ' (প্রকাশ : ২০ ভদ্র ১৩৪৮) গ্রন্থে রচনাটি ভূমিকা' হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ৫৭. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১) রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পপুত্র। বর্তমান রচনাটি সম্পর্কে পানী মহলানবিশ তাহার ‘বাইশে শ্রাবণ গ্রন্থে লিখিয়াছেন : অবনীন্দ্রনাথের সত্তর বছর বয়স আর কদিন পরেই হবে ৭ আগস্ট ১৯৪১। কবি তার জয়ন্তীর জনো খুব বাস্ত হয়ে পড়েছেন। সকালে রানীকে চন্দা বললেন রথীবাবুকে বলতে যে, এটার কথা তিনি যেন ভুলে না যান।