পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ OW。 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী পত্র কীর্তিক ১৩৪২-সংখ্যা ‘প্রবাসীতে প্ৰকাশিত হয়। পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের মধ্যস্থতায় বত্ৰিশ দিন পরে ৬ অক্টোবর রামচন্দ্ৰ শৰ্মা তেঁাহার অনশন স্থগিত রাখেন। ২৫. বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক Rudyard Kipling (১৮৬৫-১৯৩৬) ১৯০৭ সালে viif(t, Grit (35i S2 is is $(Sir East and West', 'The Flag of England lyr কবিতা লিখিয়া তিনি সাম্রাজ্যবাদী কবি হিসাবে নিন্দিত হইলেও তঁহার রচনাকুশলতা ইংরেজি সাহিত্যে বিশেষ মাত্রা যোগ করিয়াছিল। রবীন্দ্ৰনাথ তঁহার রচনা সম্পর্কে দীর্ঘকাল ধরিয়াই সচেতন ছিলেন। ১৩০৯ (১৯০২) সালে লিখিত ‘অত্যুক্তি” প্রবন্ধে তিনি লিখিয়াছিলেন : “...প্রাচ্য অত্যুক্তির উদাহরণ আরব উপন্যাস এবং পাশ্চাত্য অত্যুক্তির উদাহরণ রাডিয়ার্ড কিপলিঙের ‘‘কিম’’ এবং তঁহার ভারতবষীয় চিত্রাবলী। আরব্য উপন্যাসেও ভারতবর্যের কথা আছে, চীনদেশের কথা আছে, কিন্তু সকলেই জানে তাহা গল্পমাত্ৰ— তাহার মধ্য হইতে কাল্পনিক সত্য ছাড়া আর কোনো সত্য কেহ প্রত্যাশাই করিতে পারে না, তাহা এতই সুস্পষ্ট। কিন্তু কিপলিং তঁাহার কল্পনাকে আচ্ছন্ন রাখিয়া এমনি একটি সত্যের আড়ম্বর করিয়াছেন যে, যেমন হলপ-পড়া সাক্ষীর কােছ হইতে লোকে প্রকৃত বৃত্তান্ত প্ৰত্যাশা করে, তেমনি কিপলিঙের গল্প হইতে ব্রিটিশ পাঠক ভারতবর্ষের প্রকৃত বৃত্তান্ত প্রত্যাশা না করিয়া থাকিতে পারে না।” 3&Rİ tzliyi fərfi (85, 23"Mi-2zifzaq ?tef& “East is East, and West is west. and never the twain shall mect'-এর বিরোধিতা করিবার জন্য রবীন্দ্রনাথ তঁহার শক্তির অনেকটাই ব্যয় করিয়াছিলেন। ২৬. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যাধিপতি পঞ্চম জর্জ (১৮৬৫-১৯৩৬) ৬ মে ১৯১০ পিতা সপ্তম এডওয়ার্ডের মৃত্যুর পরে ২২ জুন ১৯১১ সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৯১১ সালে ভারত সফরে আসিয়া তিনি দিল্লির দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করিয়া সাধারণভাবে বাঙালির কৃতজ্ঞতা অর্জন করেন। ২০ জানুয়ারি ১৯৩৬ তারিখে তাহার মৃত্যু হয়। ২৭, ২০ জানুয়ারি ১৯৩৬ (৬ মাঘ ১৩৪২) প্রাতে শাস্তিনিকেতন মন্দিরে মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের (১৮১৭–১৯০৫) ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ যে উপাসনা করেন তাহার মর্ম। ২৮, ৭ পৌষ ১৩৪৩ (২২ ডিসেম্বর ১৯৩৬) প্ৰাতে উপাসনা-মন্দিরে শাস্তিনিকেতন আশ্রমের ষটুত্রিংশৎ বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে প্রার্থনা করিতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ পিতৃদেব মহৰ্ষির প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়াছিলেন। ২৯. প্ৰেমচন্দ (১৮৮০-১৯৩৬) উর্দু ও হিন্দি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মুখ্যত ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক হইলেও তিনি নাট্যকার, জীবনীকার, অনুবাদক, শিশুসাহিত্যিক, নিবন্ধকার ও সম্পাদক রূপেও সার্থকতা লাভ করিয়াছেন। চৌত্ৰিশ বর্ষব্যাপী লেখকজীবনে তিনি চৌদটি উপন্যাস, তিনশত গল্প, তিনটি নাটক, দশটি অনুবাদ, ছয়টি শিশুসাহিত্যগ্রন্থ এবং অসংখ্যা সম্পাদকীয়, নিবন্ধ, গ্রন্থসমালোচনা প্রভৃতিও লিখিয়া গিয়াছেন। এক সময়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের কিছু গল্প উর্দুতে অনুবাদ করেন। ৮ অক্টোবর ১৯৩৬ তাহার জীবনাবসান হয়। 'প্ৰেমচন্দ' তাহার ছদ্মনাম, প্রকৃত নাম ধনপত রায়। ৩০. মহম্মদ ইকবাল (১৮৭৭-১৯৩৮) উর্দু ও ফারসি ভাষার প্রখ্যাত কবি। 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হামারা’ এই দেশপ্ৰেমমূলক গানটির জন্য যিনি বিখ্যাত, তিনিই আবার ভারতীয় মুসলমানদের জন্য পৃথক বাসভূমির প্রয়োজন ও সেই উদ্দেশ্যে মুসলিমদের জন্য একটি স্বতন্ত্র অঞ্চলের প্রতিষ্ঠা বাঞ্ছনীয়— এই ভাবনার অন্যতম উদগাতা। ৯ জানুয়ারি ১৯৩৮ তারিখে ইন্টারকলেজিয়েট মুসলিম ব্রাদারহুডের উদযোগে ইকবাল দিবস’ পালন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩৭ লাহােরে এই বাণী প্ৰদান করেন। মূল বাণীটি ইংরেজিতে প্রদত্ত : ‘I share with you all India's homage to thc poetic genius of Sir Mahomed labal. I have neve