পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় o ‘গোরা'-র প্রশংসা অধিকতর হয়। বর্তমান প্রসঙ্গে একটি পত্রে রবীন্দ্রনাথ তাহার যে মনোভাব প্রকাশ করিয়াছেন তাহার প্রাসঙ্গিক অংশ এখানে সংকলিত হইল। প্ৰভাতচন্দ্র গুপ্ত-র ‘রবিচ্ছবি” --۔ جہIf fہ (سربیا رعلا)It.g$ “গোরা অভিনয়ের প্রশংসা অনেকেরই কাছে শুনেছি— যোগ্য অভিনেতা নির্বাচন তার একটা কারণ। যোগাযোগে ঠিক তার বিপরীত। অর্থাভাবে শিশির যাকে-তাকে নিয়ে কাজ BBBBD SD DBDS DDDDSS SrrS KKKDK D SBDBBB S কিন্তু যোগাযোগ’-এর অভিনয় দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ তাহার যে মতামত লিখিতভাবে দিয়াছিলেন তাহাতে সস্তুষ্টির পরিচয় আছে ‘নব্যনাট্যমন্দিরে যোগাযোগ দেখতে আমন্ত্রিত হয়ে মনে কৃষ্ঠা নিয়ে গিয়েছিলেম। সেখান থেকে মনে আনন্দ ও বিস্ময় নিয়ে ফিরে এসেছি। এমন সুসম্পূৰ্ণপ্রায় অভিনয় সর্বদা দেখা যায় না— তৎসত্ত্বেও যদি শ্রোতার মনস্তুষ্টি না হয়ে থাকে। তবে সেজন্যে নাট্যাধিনায়ক শ্ৰীযুক্ত শিশির ভাদুড়িকে দোষ দেওয়া যায় না। “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” দ্রষ্টব্য, অমল মিত্র, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও নটরাজ শিশিরকুমার’ (১৯৭৭), প্ৰকাশক, টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট। উপন্যাস ও নাটকের কাহিনী পরিসমাপ্তির মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়, সে সম্পর্কে তারাকুমার মুখোপাধ্যায় ‘অস্তরালের শিশিরকুমার’ গ্রন্থে (১৩৬৮) শিশিরকুমারের উক্তির আকারে যাহা সংকলন কবিয়াছেন তাহা হইতে ধারণা হয়, নাটকের সমাপ্তি অংশের পরিবর্তন শেষ পর্যন্ত শিশিরকুমারের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ মানিয়া লইয়াছিলেন— ‘যোগাযোগের শেষটা বদলাতে চাইলুম। কবি রাজি নন আদৌ। আমি বললুম, অপরাজিত ফুল দিয়ে যে কুমুদিনী স্বামী কামনা করে, সেই চিরকেলে সতীকে বিদ্রোহী করবেন কি করে? কবি বললেন, তুমি আমার কুমুকে হিন্দুটি করতে চাও? ওর সমস্ত বিশ্বাসকে ধূলিসাৎ করে জীবনের নাড়ীতে এসেছে বিদ্রোহ। এ তোমার সস্তার বিদ্রোহিনী নয়। আমি তখন বললুম, তাকে একবার মধুসূদনের ঘরে যেতে তো হবে। শুনে কবি খুব খেপে গেলেন। বললেন, তা তো যাবে। যাবে কি থাকবার জন্য। যাবে ফিরে আসার জন্য। আমি বললুম, ঐ মধুসূদনের ঘরে তার পায়ে গড় হয়ে প্ৰণাম করবে কুমু। দৃশ্য শেষ হবে। কথাটায় আরো উগ্র হয়ে কবি বললেন, কখখনো নয়, তা হবে না। হতে পারে না। আমি বললুম, তাই যদি হয় তবে সমগ্ৰ দৰ্শকসমাজ খুশি হবে। আমি দক্ষিণাটা ভালো পাব। শুনে কবি যেন অতল গভীর হলেন। বললেন, তুমি তো খুব দুষ্ট লোক হে। তারপর বললেন, যা খুশি করো গে। তোমার যোগাযোগ লোকে কদিন মনে রাখবে? আমার যোগাযোগ বরাবর থাকবে ।” শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক সংশোধিত অভিনয়ের কপিতে (পাণ্ডুলিপি ২৮৩ক) নাটকের যে পরিসমাপ্তি লক্ষ করা যায় তাহা উপন্যাস, পূর্বেদ্ধত শিশিরকুমারের উক্তি কোনোটার সহিতই মেলে না, রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত নাটকের পাঠে তাহা লক্ষণীয়। রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত হীরেন্দ্রনাথ ভঞ্জকে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটি পত্ৰ নাট্যরূপের এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্ৰণিধানযোগ্য অত্যন্ত ব্যস্ততার সময়ে রোগশয্যায় যোগাযোগের প্রথম তিনটি দৃশ্য লিখেছিলেম, শেষ করবার সময় পেলে দেখতে নাটকের পরিণাম তোমার রচিত নাট্যের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক শান্তিনিকেতন