পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

u)SO রবীন্দ্র রচনাবলী হােত। সতীধর্ম প্রভৃতি সম্বন্ধে উপদেশের প্রতি লক্ষ্য করে তুমি নাটকটাকে যে পথে নিয়ে গেছ বিশুদ্ধ সাহিত্যের আদর্শে সেটা হৃদ্য নয়। শিশিরকুমারকে বলেছিলুম যথোচিত শোধন ক’রে ওটাকে গ্রহণ করতে- তিনি কী করেছেন জানি নে। ইতি ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ ९४डातोडीं রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হীরেন্দ্রনাথ-কৃত নাট্যরূপটি শিশিরকুমার নকল করাইয়া লইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সহিত আলোচনাস্তে আর একটি কপি প্ৰস্তুত করাইয়া পরিমার্জনাদির জন্য তিনি রবীন্দ্রনাথকে দিয়াছিলেন, ইহাই রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক পরিমার্জিত পাণ্ডুলিপি : ২৮৩ক। এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে, "যোগাযোগ’ নাটকের যে-সমস্ত পাণ্ডুলিপি রবীন্দ্রভবন অভিলেখাগারে সংরক্ষিত আছে সেগুলির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, সুধীরচন্দ্র কর –কৃত প্ৰতিলিপি, শিশিরকুমার ভাদুড়ির অভিনয়ের কপি এবং পরবর্তীকালে রবীন্দ্রসদন (বর্তমানে রবীন্দ্রভবন) -এর উদ্যোগে প্ৰস্তুত প্ৰতিলিপি আছে। হীরেন্দ্রনাথ ভঞ্জকে লিখিত পত্রে রবীন্দ্রনাথ ‘শেষ করবার সময়'-এর অভাবের প্রসঙ্গ জানাইয়াছিলেন এবং যথোচিত শোধন ক’রে ওটাকে গ্রহণ করার প্রসঙ্গও আছে। রবীন্দ্রনাথ শিশিরকুমারকে এই শোধনের দায়িত্ব পূর্বেই দিয়াছিলেন। শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ নিজেই তাহার অভিপ্ৰেত পরিবর্তনাদি করিয়া নাটকটি সুসম্পূর্ণ করেন। এই সময়ে (১৯৩৬ প্রশাস্তচন্দ্ৰ মহলানবিশকে রবীন্দ্ৰনাথ একটি পত্রে লিখিয়াছিলেন “... শিশির ভাদুড়ি যোগাযোগের নাটীীকরণ সম্বন্ধে ধন্ন দিয়ে পড়েছিলেন। খানিকটা অংশ পূর্বেই করে দিয়েছিলুম। বাকি অনেকখানিই তিন চার দিনের মধ্যেই লিখে দেবার জন্যে তাঁর আবেদন। দুঃসাধ্য কাজ করতে হয়েছে, এমন একটানা পরিশ্রম আর কখনো করি নি। আমার নিজের বিশ্বাস জিনিসটা ভালোই হয়েছে। খ্রাষ্টোৎসব সপ্তাহে বোধ হচ্ছে অভিনয় হবেদেখতে যেয়ো। উপযুক্ত অভিনেতা সংগ্ৰহ করতে পেরেছে কি না সন্দেহ- বিশেষ দক্ষ লোকের দরকার--- নইলে শোচনীয় হবে।” —দ্রষ্টব্য, সাপ্তাহিক 'দেশ', ১০ আশ্বিন ১৩৮২, পৃ. ৬৫৯ ‘যোগাযোগ’ নাটকবিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাদির জন্য দ্রষ্টব্য, "রবীন্দ্রবীক্ষা’। পঞ্চম সংকলন (পৌষ ১৩৮৫) ও শ্ৰীব্রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী -লিখিত সাধারণ রঙ্গালয় ও রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থের (বিশ্বভারতী, শ্রাবণ ১৪০৬) “যোগাযোগ' শীৰ্ষক আলোচনা (পৃ. ২০৫-১৫)। ব্যঙ্গকৌতুক স্বৰ্গে চক্রটেবিল বৈঠক “স্বৰ্গে চক্রােটবিল বৈঠক” শীৰ্ষক কৌতুক নাটকটির প্রকাশ “প্রবাসী" পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪৫ সংখ্যায়। রচনাটি বস্তৃত রবীন্দ্রনাথের পূর্ব রচিত 'প্রাচীন দেবতার নূতন বিপদ' (প্রকাশ, সাধনা' আষাঢ় ১৩০০। ‘ব্যঙ্গকৌতুক গ্রন্থভুক্ত) কৌতুক রচনার নূতন রূপ। দুটি রচনার আলোচনা প্রসঙ্গে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্রজীবনী’ চতুর্থ খণ্ডে (পরিবর্ধিত সং ১৩৭১) “প্ৰত্যাবর্তনের পর’ অধ্যায়ে লিখিয়াছেন “প্রাচীন দেবতার নূতন বিপদ ঘনায়মান, বিজ্ঞানের গবেষণায় দেবতাদের অস্তিত্বলোপের সম্ভাবনায় স্বর্গে সকলেই উৎকণ্ঠিত। ‘ব্যঙ্গকৌতুকে’র লেখাটি ও স্বর্গে চক্রটেবিল বৈঠকের ভাষাটি তুলনীয়। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করিতেছি। ‘ব্যঙ্গকৌতুকে' ['প্ৰাচীন দেবতার নূতন