পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবন্ধ ሰ እs প্রিয়গণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রিয় তুমি তোমাকে আহবান করি, নিধিগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নিধি তুমি তোমাকে আহবান করি। তোমাকে দীর্ঘজীবনে আহবান করি, দেশের কল্যাণে আহবান করি, বন্ধুজনের হৃদয়াসনে আহবান করি। প্রবাসী ή 5η Σ υN Σ ग्रान् ि$७२४ আমার শরীর ভালো নাই আমার অবকাশও অল্প। রামেন্দ্রসুন্দরের সম্বন্ধে মনের মতো করিয়া কিছু লিখিব। এমন সুযোগ এখন আমার নাই। শুধু শ্রদ্ধা নহে, তীহার প্রতি আমার প্রতি সুগভীর ছিল, এ কথা আমি পূর্বেও বলিয়াছি। কিন্তু এ কথা বলিবার লোক আরও অনেক আছে। যে কেহ তাহার কাছে আসিয়াছিল, সকলেই তাহার মনীষায় বিস্মিত ও সহৃদয়তায় আকৃষ্ট হইয়াছে। বৃদ্ধির, জ্ঞানের, চরিত্রের ও উদারহৃদয়তার এরূপ সমাবেশ দেখা যায় না। আমার প্রতি তাহার যে অকৃত্রিম অনুরাগ ছিল তাহা তাহার ঔদার্যের একটি অসামান্য প্রমাণ। আমার সহিত তাহার সামাজিক মতের ও ব্যবহারের অনৈক্য শেষ পর্যন্ত তাহার চিত্তকে আমার প্রতি বিমুখ করিতে পারে নাই; এমন-কি, প্রবল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাহিতা-পরিষদের পক্ষ হইতে একদা আমার প্রশস্তিসভার আয়োজন করিতে তিনি কুষ্ঠিত হন নাই। বাংলার লেখকমণ্ডলীর মধ্যে সাধারণত লিপিনৈপুণ্যের অভাব দেখা যায় না; কিন্তু স্বাধীন মননশক্তির সাহস ও ঐশ্বৰ্য অত্যন্ত বিরল। মনন ও রচনারীতি সম্বন্ধে রামেন্দ্রসুন্দরের দুর্লভ স্বাতন্ত্র ছিল। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তাহার সেই খ্যাতি বিলুপ্ত হইবে না। বিদ্যা তাহার ছিল প্রভূত, কিন্তু সেই বিদ্যা তাহার মনকে চাপা দিতে পারে নাই। তিনি যাহা বলিতেন, তাহার বিষয়বিচারে অথবা তাহার লেখন-প্ৰণালীতে অন্যা কাহারো অনুবৃত্তি ছিল না। দেশের প্রতি তাহার প্রীতির মধ্যেও তীহার নিজের বিশিষ্টতা ছিল; তাহা স্কুলপাঠ্য বিলাতী ইতিহাস হইতে উদ্ধৃত তৎকালীন কনগ্রেস তোতাপাখি-কর্তৃক উচ্চারিত বাধা বুলির দ্বারা পুষ্ট ছিল না। তঁহার চিত্তের মধ্যে ভারতের একটি মানসী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল। সেই মূর্তিটি ভারতেরই সনাতন বাণীর উপকরণে নির্মিত। সেই বাণীর সহিত র্তাহার নিজের ধান নিজের মনন সম্মিলিত ছিল। তাহার সেই স্বদেশগ্ৰীতির মধ্যে ব্ৰাহ্মণের জ্ঞানগম্ভীর্য ও ক্ষত্ৰিয়ের তেজস্বিতা একত্র সংগত হইয়াছিল। জীবনে তিনি অনেক দুঃখ পাইয়াছিলেন। প্রিয়জনের মৃত্যুশোক তঁহাকে বারংবার মর্মাহত করিয়াছে। তিনি যে-সকল ব্ৰত গ্ৰহণ করিয়া প্ৰাণপণে পালন করিতেছিলেন তাহাতেও নানাপ্রকার বাধাবিরুদ্ধতা তীহাকে কঠোর ভাবে আক্রমণ করিয়াছে। কিন্তু তাঁহা সত্ত্বেও তীহার অজস্র মাধুর্যসম্পদের কিছুমাত্র ক্ষয় হয় নাই— রোগ তাপ প্রতিকূলতার মধ্যে র্তাহার প্রসন্নতা অম্লান ছিল। বিরোধের আঘাত তীহাকে গভীর করিয়া বাজিত, অন্যায় তাহাকে তীব্ৰ পীড়া দিত, কিন্তু তিনি ক্ষমা করিতে জানিতেন। সেই মাধুর্য সেই ক্ষমাই ছিল তঁহার শক্তির প্রকাশ। তিনি যদি কেবলমাত্র বিদ্বান বা গ্ৰন্থরচয়িতা বা স্বদেশপ্রেমিক হইতেন, তাহা হইলেও তিনি প্রশংসালাভ করিতে পারিতেন। কিন্তু তঁহার মধ্যে স্বভাবের যে একটি পূর্ণতা ছিল, তাহারই গুণে তিনি সকলের গ্ৰীতি লাভ করিয়া গিয়াছেন। এমন পুরস্কার অতি অল্প লোকেরই ভাগে (b। २५ कानि ७७२8 X \986