পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষরক্ষা ృe) ইন্দু। তা হলে সমতুল্য বলাটা ভুল হয়েছে, তার চেয়ে নাহয় কিছু নীরসই হল। সে তর্ক পরে হবে, তুমি গান গাও। কমল । গান ডাকিল মোরে জাগার সাথি । প্রাণের মাঝে বিভাস বাজে, প্রভাত হল আঁধার রাতি । বাজায় বঁাশি তন্দ্রাভাঙা, ছড়ায় তারি বসন রাঙা, ফুলের বাসে এই বাতাসে কী মায়াখানি দিয়েছে গাথি । গোপনতম অস্তরে কী লেখনরেখা দিয়েছে লেখি ! মন তো তারি নাম জানে না, রূপ আজিও নয় যে চেনা, বেদনা মম বিছায়ে দিয়ে রেখেছি তারি আসন পাতি । ইন্দু। ক্ষাস্তদিদি, ঐ চেয়ে দেখো, বাণ পৌচেছে ! ক্ষাস্তমণি । কোথায় ? ইন্দু। আমাদের এই গলির আকাশ পার হয়ে, ঠেকেছে গিয়ে তোমাদের বাড়ির ঐ দরজাতে । ক্ষান্তমণি। ইন্দু, তুই স্বপ্ন দেখছিস নাকি ? ইন্দু। ঐ দেখো-না, তোমাদের বন্ধ দরজার খড় খড়ে খুলে গেছে। ক্ষাস্তমণি । তা তো দেখছি । ইন্দু। কমলদিদি, বুঝতে পেরেছ ? কমল । আঃ, কী ষে বকিস তার ঠিক নেই। ইন্দু। ঐ খোলা খড় খড়ির ফাক দিয়ে কবিকুঞ্জবনের দীর্ঘনিশ্বাস উচ্ছ্বসিত। ঐ খড় খড়ির পিছনে একটা ধড়ফড়ানি দেখতে পাচ্ছ ? কমল। কিসের ধড়ফড়ানি ? ইন্দু। সেই খবরটাই তো চোখের আড়ালে রয়ে গেল।