পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষরক্ষা ›õዓ গদাই। সেকেও হ্যাও, নিলেম থেকে শস্তায় কিনেছি, আপনার কাছে থেকে টাকা চাইতে ভয় করে। শিবচরণ। চাইলেই পেতিস কিনা ! ফিরিয়ে দে। ছিছি ! ঐ নোংরা মোজাগুলো নিয়ে বেড়াচ্ছিস । কী জানি কোন ব্যামোর ছোয়াচ আছে ওর মধ্যে— গদাই । আমারও সে ভয় আছে বাবা, ছোয়াচ যে কোথায় কী থাকে কিছু বলবার জো নেই। এখনো ফিরিয়ে দিতে পারব, কালই না হয়— শিবচরণ। সেই ভালো । এই নে, তোকে দেড় টাকা দিচ্ছি— পাকপ্রণালী দু খণ্ড কিনে তাকে দিস। এখন গাড়িতে ওঠ । ( সহিসের প্রতি ) দেখ, একেবারে সেই পটলডাঙার কালেজে নিয়ে যাবি, কোথাও থামাবি নে । গদাই । ( জনাস্তিকে সহিসের প্রতি ) মির্জাপুর চন্দ্রবাবুর বাসায় চল, তোদের এক টাকা বকশিশ দেব, ছুটে চল । [ প্রস্থান শিবচরণ। আজ আর রুগি দেথা হল না। আমার সকাল বেলাটা মাটি করে দিলে । [ প্রস্থান দ্বিতীয় দৃশ্য চন্দ্র কান্তের বাসা চন্দ্রকান্ত । নাং, এ আগাগোড়া কেবল ছেলেমাতুষি করা হয়েছে । আমার এমন অনুতাপ হচ্ছে! মনে হচ্ছে যেন আমিই এ সমস্ত কাগুটি ঘটিয়েছি। ইদিকে এত কল্পনা, এত কবিত্ব, এত মাতামাতি, আর বিয়ের দু দিন না যেতে যেতেই কিছু আর মনে ধরছে না । গদাইয়ের প্রবেশ গদাই । কী হচ্ছে চন্দরদী ? চন্দ্রকান্ত । না গদাই, তোরা আর বিয়েথাওয়া করিস নে । গদাই । কেন বলে দেখি। তোমার ঘাড়ে ম্যালথসের ভূত চাপল নাকি ? চন্দ্রকান্ত । এখনকার ছেলেরা তোরা মেয়েমানুষকে বিয়ে করবার যোগ্য নোস । তোরা কেবল লম্বাচওড়া কথা কবি আর কবিতা লিখবি, তাতে ষে পৃথিবীর কী উপকার হবে ভগবান জানেন।