পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী সে-মুহূর্ত বাশির গানের মতো ; অসীমতা তার কেন্দ্রে রয়েছে সংহত । সে-মুহূর্ত উৎসের মতন ; একটি সংকীর্ণ মহাক্ষণ । উচ্ছলিত দেয় ঢেলে আপনার সবকিছু দান । সে সম্পদ দেখা দেয় লয়ে নৃত্য, লয়ে গান, লয়ে স্বর্যালোকভরা হাসি, ফেনিল কল্লোল রাশি রাশি । সে-মুহূর্তধারা ক্রমে অাজ হল হারা স্বদূরের মাঝে । সে-সুদূরে বাজে মহাসমুদ্রের গাথা । সেইখানে আছে পাতা বিরাটের মহাসন কালের প্রাঙ্গণে । সর্ব দুঃখ, সর্ব স্থখ মেলে সেথা প্রকাণ্ড মিলনে । সেথা আকাশের পটে অস্ত-উদয়ের শৈলতটে রবিচ্ছবি অঁাকিল যে অপরূপ মায়া তারি সঙ্গে গাথা পড়ে রজনীর ছায়া । সেথা আজ যাত্রী দুইজনে শান্ত হয়ে চেয়ে আছে স্থদুর গগনে । কিছুতে বুঝিতে নাহি পারে কেন বারে বারে দুই চক্ষু ভরে ওঠে জলে । ভাবনার স্বগভীর তলে ভাবনার অতীত যে-ভাষা করিয়াছে বাসা