পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a রবীন্দ্র-রচনাবলী یاد " নিবারণের প্রবেশ নিবারণ। দেখে বাপু, শিবু আমার বাল্যকালের বন্ধু— আমার বড়ো ইচ্ছে, তার সঙ্গে আমার একটা পারিবারিক বন্ধন হয়। এখন তোমাদের ইচ্ছের উপরেই সমস্ত নির্ভর করছে। গদাই । আমার ইচ্ছের জন্যে আপনি কিছু ভাববেন না, আপনার আদেশ পেলেই আমি কৃতার্থ হই । নিবারণ। (স্বগত) যা মনে করেছিলুম তাই। বুড়ো বাপ মাথা খোড়াখুড়ি করে যা করতে না পারলে, একবার ইন্দুকে দেখবামাত্র সমস্ত ঠিক হয়ে গেল। বুড়োরাই শাস্ত্র মেনে চলে, যুবাদের শাস্ত্রই এক আলাদা । ( প্রকাশ্বে ) ত বাপু, তোমার কথা শুনে বড়ো আনন্দ হল । তা হলে একবার আমার মেয়েকে তার মতটা জিজ্ঞাসা করে আসি । তোমরা শিক্ষিত লোক, বুঝতেই পার, বয়ঃপ্রাপ্ত মেয়ে, তার সম্মতি না নিয়ে তাকে বিবাহ দেওয়া যায় না । গদাই । তা অবশ্য । নিবারণ। তা হলে আমি একবার আসি। চন্দ্রবাবুদের এই ঘরে ডেকে দিয়ে যাই । [ প্রস্থান শিবচরণের প্রবেশ শিবচরণ। তুই এখানে বসে রয়েছিল, আমি তোকে পৃথিবী-মৃদ্ধ খুজে বেড়াচ্ছি। গদাই । কেন বাবা ? শিবচরণ। তোকে যে আজ তারা দেখতে আসবে। গদাই । কারা ? শিবচরণ। বাগবাজারের চৌধুরীরা। গদাই । কেন । শিবচরণ। কেন ! না দেখে-শুনে অমনি ফস করে বিয়ে হয়ে যাবে ? তোর বুঝি আর সবুর সইছে না ? গদাই । বিয়ে কার সঙ্গে হবে ? শিবচরণ। ভয় নেই রে বাপু, তুই যাকে চাস তারই সঙ্গে হবে। আমার ছেলে হয়ে তুই যে এত টাকা চিনেছিল, তা তো জানতুম না। তা সেই বাগবাজারের ট্যাকশালের সঙ্গেই তোর বিয়ে স্থির করে এসেছি ।