পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏవిఫి রবীন্দ্র-রচনাবলী শিবচরণ গদাই নিবারণ ও চন্দ্রকাস্তের প্রবেশ চন্দ্ৰকান্ত । সমস্ত ঠিক হয়ে গেছে। শিবচরণ। কী হল বলে দেখি । চন্দ্রকান্ত । ললিতের সঙ্গে কাদম্বিনীর বিবাহ স্থির হয়ে গেল । শিবচরণ। সে কী ! সে যে বিবাহ করবে না শুনলুম ? চন্দ্রকান্ত । সহধর্মিণীকে না । বিয়ে করছে টাকা-কল্পলতিকাকে ; সে ওকে সাতপাকে ঘিরে বিলেত যাবার পাথেয়-পুষ্পবৃষ্টি করবে। যা হোক, এখন আর-একবার আমাদের গদাইবাবুর মত নেওয়া উচিত— ইতিমধ্যে যদি আবার বদল হয়ে থাকে। শিবচরণ । ( ব্যস্তভাবে ) না না, আর মত বদলাতে সময় দেওয়া হবে না । তার পূর্বেই আমরা পাচজনে পড়ে চেপেচুপে ধরে কোনো গতিকে ওর বিয়েটা দিয়ে দিতে হচ্ছে । চলো গদাই, অনেক আয়োজন করবার আছে। ( নিবারণের প্রতি ) তবে চললেম ভাই ! নিবারণ। এসো — [ গদাই ও শিবচরণের প্রস্থান চন্দরবাবু, আপনার তো খাওয়া হল না, কেবল ঘুরে ঘুরেই অস্থির হলেন— একটু বসুন, আপনার জন্যে জলখাবারের আয়োজন করে আসি গে। [ প্রস্থান ক্ষান্তমণির প্রবেশ ক্ষান্তমণি। এখন বাড়ি যেতে হবে না কী ? চন্দ্রকান্ত । ( দেয়ালের দিকে মুখ করিয়া ) নাঃ, আমি এখানে বেশ আছি । ক্ষাস্তমণি । তা তো দেখতে পাচ্ছি। তা চিরকাল এইখানেই কাটাবে নাকি ? চন্দ্ৰকান্ত। বিস্তুর সঙ্গে আমার তো সেইরকমই কথা হয়েছে। ক্ষান্তমণি। বিস্তু তোমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কিনা ! বিকুর সঙ্গে কথা হয়েছে ! এখন ঢের হয়েছে, চলো । চক্সকান্ত । (জিব কাটিয়া, মাথা নাড়িয়া) সে কি হয়। বন্ধুমাতুষকে কথা দিয়েছি, এখন কি সে ভাঙতে পারি। ক্ষান্তমণি। আমার ঘাট হয়েছে, আমাকে মাপ করে তুমি। আমি আর কখনো বাপের বাড়ি গিয়ে থাকব না। তা তোমার তো অষত্ব হয় নি— আমি তো সেখান থেকে সমস্ত রোধে তোমাকে পাঠিয়ে দিয়েছি । চক্সকান্ত। বড়োবউ, আমি কি তোমার রান্নার জন্তে তোমাকে বিয়ে করেছিলুম ?