পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক বিরহের বিষন্ন আকাশে সন্ধ্যা হয়ে আসে । তোমারে নিরখি ধ্যানে সব হতে স্বতন্ত্র করিয়া আনন্তে ধরিয়া । নাই স্বষ্টিধারা, নাই রবি শশী গ্ৰহতারা ; বায়ু স্তন্ধ আছে, দিগন্তে একটি রেখা অঁাকে নাই গাছে । নাইকো জনতা, নাই কানাকানি কথা । নাই সময়ের পদধ্বনি নিরন্ত মুহূর্ত স্থির, দণ্ড পল কিছুই না গণি । নাই আলো, নাই অন্ধকার— আমি নাই, গ্রন্থি নাই তোমার আমার । নাই স্থখ দুঃখ ভয়, আকাঙ্ক্ষা বিলুপ্ত হল সব— আকাশে নিস্তব্ধ এক শান্ত অনুভব । তোমাতে সমস্ত লীন, তুমি আছ একা— আমি-হীন চিত্তমাঝে একান্ত তোমারে শুধু দেখা । ৩ জুলাই [১৯৩২] কৈশোরিকা হে কৈশোরের প্রিয়া, ভোরবেলাকার আলোক-আঁধার-লাগা চলেছিলে তুমি আধঘুমো-আধজাগা মোর জীবনের ঘন বনপথ দিয়া । ছায়ায় ছায়ায় আমি ফিরিতাম একা, দেখি দেখি করি শুধু হয়েছিল দেখা চকিত পায়ের চলার ইশারাখানি ।