পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ Sed এক অসাধারণ আশ্চর্য অপরূপ অতি-গভীর অতি-বেদনাপরিপূর্ণ স্বৰ্গীয় চিত্রের মতে র্তাহার মানসপটে প্রতিফলিত হইয়া উঠিল। তাহারই সঙ্গে কীর্তনের করুণ স্বর বাজিতে লাগিল এবং মনে হইল যেন সেই পল্লীবালিকার মুখে সমস্ত বিশ্বহৃদয়ের এক অনির্বচনীয় দুঃখ আপনার ছায়া নিক্ষেপ করিয়াছে। শশিভূষণ দুই বাহুর মধ্যে মুখ লুকাইয়া সেই টেবিলের উপর সেই প্লেট বহি খাতার উপর মুখ রাখিয়া অনেক কাল পরে অনেক দিনের স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন । অনেকক্ষণ পরে মৃদু শব্দে সচকিত হইয়া মুখ তুলিয়া দেখিলেন। র্তাহার সম্মুখে রুপার থালায় ফলমূলমিষ্টান্ন রাখিয়া গিরিবালা অদূরে দাড়াইয়া নীরবে অপেক্ষ করিতেছিল। তিনি মন্তক তুলিতেই নিরাভরণা শুভ্ৰবসন বিধবাবেশধারিণী গিরিবাল র্তাহাকে নতজানু হইয়া ভূমিষ্ঠ প্রণাম করিল। বিধবা উঠিয়া দাড়াইয়া যখন শীর্ণমুখ মানবর্ণ ভগ্নশরীর শশিভূষণের দিকে সকরুণ স্নিগ্ধনেত্ৰে চাহিয়া দেখিল, তখন তাহার দুই চক্ষু ঝরিয়া দুই কপোল বাহিয়া অশ্রু পড়িতে লাগিল । শশিভূষণ তাহাকে কুশলপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে চেষ্টা করিলেন কিন্তু ভাষা খুজিয়া পাইলেন না ; নিরুদ্ধ অশ্রীবাষ্প ৰ্তাহার বাক্যপথ সবলে অবরোধ করিল, কথা এবং অশ্রী উভয়েই নিরুপায়ভাবে হৃদয়ের মুখে কষ্ঠের স্বারে বদ্ধ হইয়া রহিল। সেই কীর্তনের দল ভিক্ষা সংগ্ৰহ করিতে করিতে অট্টালিকার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল এবং পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করিয়া গাহিতে লাগিল— এসে এসো হে ! আশ্বিন-কাতিক ১৩০১ প্রায়শ্চিত্ত প্রথম পরিচ্ছেদ স্বর্গ ও মর্তের মাঝখানে একটা অনির্দেশ অরাজক স্থান আছে যেখানে ত্রিশঙ্কু রাজা ভাসিয়া বেড়াইতেছেন, যেখানে আকাশকুস্কমের অজস্র আবাদ হইয়া থাকে। সেই বায়ুদুৰ্গবেষ্টিত মহাদেশের নাম হইলে হইতে-পারিত। যাহারা মহৎ কার্য করিয়া অমরতা লাভ করিয়াছেন তাহারা ধন্ত হইয়াছেন, যাহারা সামান্য ক্ষমতা লইয়া সাধারণ মানবের মধ্যে সাধারণভাবে সংসারের প্রাত্যহিক কর্তব্যসাধনে সহায়তা করিতেছেন তাহারাও ধন্ত ; কিন্তু যাহারা অদৃষ্টের ভ্রমক্রমে হঠাৎ দুয়ের মাঝখানে وی اند ام نه