পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૧ রবীন্দ্র-রচনাবলী जा? लाठिंश विश्क कैरिन्द्र ट्रेकब eङ्गडि नशखड़े ब्रांशिलन ७ष गरी'बि ७श* উপহারগুলি ও দশ টাকার নোটটি সাজাইয়া রাখিলেন । কিন্তু পরের দিন সেই ব্রাহ্মণবালকের কোনো উদ্দেশ পাওয়া গেল না । গ্রামের লোকেরা বলিল, তাহাকে দেখে নাই ; পুলিস বলিল, তাহার সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না। তখন শরৎ বলিলেন, “এইবার নীলকাস্তের বাক্সট পরীক্ষা করিয়া দেখা যাকৃ।” কিরণ জেদ করিয়া বলিলেন, “সে কিছুতেই হইবে না।” বলিয়া বাক্সটি আপন ঘরে আনাইয়া দোয়াতটি বাহির করিয়া গোপনে গঙ্গার জলে ফেলিয়া আসিলেন । শরৎ সপরিবারে দেশে চলিয়া গেলেন ; বাগান একদিনে শূন্ত হইয়া গেল। কেবল নীলকাস্তের সেই পোষা গ্রাম্য কুকুরটা আহার ত্যাগ করিয়া নদীর ধারে ধারে ঘূরিয়া ঘুরিয়া খুজিয়া খুজিয়া কাদিয়া কাদিয়া বেড়াইতে লাগিল । ফাল্গুন ১৩০১ দিদি প্রথম পরিচ্ছেদ পল্লীবাসিনী কোনো এক হতভাগিনীর অন্যায়কারী অত্যাচারী স্বামীর দুষ্কৃতিসকল সবিস্তারে বর্ণনপূর্বক প্রতিবেশিনী তারা অত্যন্ত সংক্ষেপে নিজের রায় প্রকাশ করিয়া কহিল, “এমন স্বামীর মুখে আগুন।” শুনিয়া জয়গোপালবাবুর স্ত্রী শশী অত্যন্ত পীড়া অনুভব করিলেন– স্বামীজাতিব মুখে চুরটের আগুন ছাড়া অন্য কোনো প্রকার আগুন কোনো অবস্থাতেই কামনা করা স্ত্রীজাতিকে শোভা পায় না। অতএব এ সম্বন্ধে তিনি কিঞ্চিৎ সংকোচ প্রকাশ করাতে কঠিনহৃদয় তারা দ্বিগুণ উৎসাহের সহিত কহিল, “এমন স্বামী থাকার চেয়ে সাতজন্ম বিধবা হওয়া ভালো।” এই বলিয়া সে সভাভঙ্গ করিয়া চলিয়া গেল । শশী মনে মনে কহিল, স্বামীর এমন কোনো অপরাধ কল্পনা করিতে পারি না, যাহাতে র্তাহার প্রতি মনের ভাব এত কঠিন হইয়া উঠিতে পারে। এই কথা মনের মধ্যে আলোচনা করিতে করিতেই তাহার কোমল হৃদয়ের সমস্ত প্রীতিরস তাহার প্রবাসী স্বামীর অভিমুখে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিল ; শয্যাতলে তাহার স্বামী যে অংশে শয়ন করিত