পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী একগুছি চুল বায়ু উচ্ছাসে কাপ ললাটের ধারে থাকে যেন অশাসনে । ডাহিন ওলকে একটি দোলনচাপা দুলিয়া উঠুক গ্রীবাভঙ্গীর সনে । বৈকালে গাথা ঘূখীমুকুলের মালা কণ্ঠের তাপে ফুটিয়া উঠিবে সাঝে ; দূরে থাকিতেই গোপনগন্ধ-ঢালা স্বখসংবাদ মেলিবে হৃদয়মাঝে । এই স্বযোগেতে একটুকু দিই খোটা— আমারি দেওয়া সে ছোট্ট চুনির দুল, রক্তে জমানো যেন অশ্রীর ফোটা, কতদিন সেটা পরিতে করেছ ভুল । আরেকটা কথা বলে রাখি এইখানে, কাব্যে সে কথা হবে না মানানসই, স্বর দিয়ে সেটা গাহিব না কোনো গানে — তুচ্ছ শোনাবে, তবু সে তুচ্ছ কই । একালে চলে না সোনার প্রদীপ আনা, সোনার বীণাও নহে আয়ত্তগত । বেতের ডালায় রেশমি-রুমাল-টানা অরুণবরন আম এনে গোটাকত । গদ্য জাতীয় ভোজ্যও কিছু দিয়ে, পদ্যে তাদের মিল খুজে পাওয়া দায় । তা হোক, তবুও লেখকের তারা প্রিয় ; জেনো, বাসনার সেরা বাসা রসনায় । ওই দেখো, ওটা আধুনিকতার ভূত মুখেতে জোগায় স্থূলতার জয়ভাষা ; জানি, অমরার পথহারা কোনো দূত জঠরগুহায় নাহি করে যাওয়া-আসা ।