পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রী. । r 8●都 ক্রকোভিয়া জাহাজ ৯ই ফেব্রুয়ারি ১৯২৫

  • , क • বিষয়ী লোক শতদলের পাপড়ি ছিড়ে ছিড়ে একটি একটি করে জমা করে আর বলে, “পেয়েছি!” তার সঞ্চয় মিথ্যে। সংশয়ী লোক শতদলের পাপড়ি একটি একটি করে ছিড়ে ছিড়ে তাকে কেটে কুটে নিঙরে মুচড়ে বলে, “পাই নি!” অর্থাৎ, সে উলটো দিকে চেয়ে বঙ্গুে, “নেই।” রসিক লোক সেই শতদলের দিকে “আশ্চর্যবং পশুতি” । এই আশ্চর্ষের মানে হল পেয়েছি পাইনি দুই-ই সত্য। প্রেমিক বললে, “লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখহ, তবু হিয়ে জুড়ন না গেল।” অর্থাৎ, বললে লক্ষযুগের পাওয়া অল্পকালের মধ্যেই পেয়েছি আবার সেই সঙ্গেই লক্ষযুগের না-পাওয়াও লেগেই রইল । সময়টা যে আপেক্ষিক, রসের ভাষায় সে কথাটা অনেকদিন থেকে বলা চলছে, বিজ্ঞানের ভাষায় আজ বলা হল। . .

যখন ছোটো ছিলেম, মনে পড়ে, বিশ্বজগৎ আমার কাছে প্রতিদিন অন্ধকার রাত্রির গর্ভ থেকে নূতন দেহ ধরে জন্ম নিত। পরিচয় আর অপরিচয় আমার মনের মধ্যে এক হয়ে মিলেছিল। আর সেই শিশুকাল পথিকের কাল। তখন পথের শেষের দিকে লক্ষ্য খুজি নি, পথের আশেপাশে চেয়ে চেয়ে চলছি, যেন কোন আবছায়ার ভিতর থেকে আচমকা দেখা দেবে একটা কী জানি”, একটা “হয়তো”। বারান্দার কোণে খানিকটা ধুলো জড়ো করে আতার বিচি পুতে রোজ জল দিয়েছি। আজ যেটা আছে বীজ কাল সেটা হবে গাছ, ছেলেবেলায়সে একটা মস্ত "কী জানি”র দলে ছিল। সেই কীজানিকে দেখাই সত্য দেখা। সত্যের দিকে চেয়ে ষে বলে “জানি” সেও তাকে হারায়, ষে বলে "জানি নে”সেও করে ভুল, আমাদের ঋষির এই বলেন। ষে বলে “খুব জানি” সেই অবোধ সোন ফেলে চাদরের গ্রন্থিকে পাওয়া মনে করে, ষে বলে “কিছুই জানি নে” সে তো চাদরটাকে স্বদ্ধ খুইয়ে বসে। আমি ঈশোপনিষদের এই মানেই "বুঝি। “জানি না” যখন “জানি”র আঁচলে গাঠছড়া বেঁধে দেখা দেয় তখন মন বলে, “ধন্ত হলো।” পেয়েছি মনে করার মতো হারানো আর নেই। : 한 এই জন্তেই ভারতবর্ধকে ইংরেজ যেমন করে হারিয়েছে এমন আর রোপের কোনো জাত নয়। ভারতবর্যের মধ্যে যে একটা চিরকেলে রহস্ত আছে সেটা তার কাছ থেকে সরে গেল। তার ফৌজের গাঠের মধ্যে ষে ৰম্ভটাকে কষে বাধতে পারলে সেইটেকেই