পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

śèé ब्ररौठा-ब्रक्रमांवलौ ক্রাকোভিয়া ষ্টিমার ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ পূর্বেই বলেছি, নন্দিনী তার নাম, তিন বছর তার বয়স, সে তৃতীয়ার চাদটুকুর মতো । আধুনিক নবেল পড়বার সময় তার এখনো হয় নি। ঘুম-পাড়াবার আগে তাকে গল্প শোনাবার লোক চাই। তাই, যে-আমি এতকাল জনসাধারণকে ঘুম পাড়াবার বায়না নিয়েছিলুম, দায়ে পড়ে সেই-আমার পদবৃদ্ধি হল। আজকাল এই ক্ষুদ্র মহারানীর শয্যাপার্শ্বে আমার তলব হচ্ছে। কাল রাত্রে আহার সেরে জাহাজের কামরায় এসে বসেছি। হুকুম হল, "দাদামশায়, বাঘের গল্প বলো।” আমি কবি ভবভূতির মতো বিনয় করে বললুম, “আমার সমযোগ্য লোক হয়তো জাহাজে এক-আধজন মিলতেও পারে, কারণ, যাত্রী অনেক এবং বিপুল চ তরণী ।” কিন্তু, নিষ্কৃতি পেলুম না। তখন শুরু করে দিলুম— এক যে ছিল বাঘ, তার সর্ব অঙ্গে দাগ । আয়নাতে তাই হঠাৎ দেখে হল বিষম রাগ । ঝগডুকে সেই বললে ডেকে, “এথ খনি তুই ভাগ, ষা চলে তুই প্রাগ, সাবান যদি না মেলে তো যাস হাজারিবাগ।” বীণাপাণির কৃপা এইখানে এসে থেমে গেল, ছড়া আর এগোল না। তখন ছন্দের বেড়া ডিঙিয়ে গষ্ঠের মধ্যে নেমে পড়লুম। পাঠক নিশ্চয় বুঝতে পারছেন গল্পের মূল ধারাটা হচ্ছে, বাঘের সর্বাঙ্গীণ কলঙ্কমোচনের জন্যে সাবান-অন্বেষণের দুঃসাধ্য অধ্যবসায়ে ঝগডু-নামধারী বেহারার যাত্রা । l কথা উঠবে, ঝগডুর তাগিদটা কিসের। দয়ারও নয়, মৈত্রীরও নয়, ভয়ের তাগিদ । বাঘ শাসিয়েছিল, সাবান না আনতে পারলে তার কান ছিড়ে নেবে। এতে বাস্তববিলাসীরা আশ্বস্ত হবেন, বুঝবেন, তা হলে গল্পটা নেহাত আজগুবি নয়। প্রথমে দেখাতে হল, পাথেয় এবং সাবানের মূল্যের জন্তে কী অসম্ভব উপায়ে ঝগডু একেবারে পাচ তিন নয় সাত দশ পয়সা সংগ্রহ করলে । টেকে ওঁজে গোরুর গাড়ি করে সে বৃহস্পতিবারের বারবেলায় চেকোস্লোভাকিয়ায় রওনা হল । বোলপুরের কাছে