পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

899 রবীন্দ্র-রচনাবলী কৌতুহলের বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু তাতে বিশুদ্ধ দেখার অহৈতুক বিষয় নেই। সত্তাকে সকলের চেয়ে অব্যবহিত করে অনুভব করি নিজের মধ্যে । আমার মধ্যে একটি এক নিয়ত বলছে আছি”। গানের মধ্যে, ছবির মধ্যে, এক যদি তেমনি জোরে বলে উঠতে পারে “এই-ষে আমি”, তা হলেই তাতে-অামাতে মিলনের স্থর পূর্ণ হয়ে বাজল। একেই বলে শুভদৃষ্টি ; ঐক্যের উপলব্ধিতে দেখবার বিষয় চোখে-পড়া আর্টিস্ট প্রশ্ন করছে, আর্টের সাধনা কী। আমি বলি “দেখো”, তবেই দেখাতে পারবে । সত্তার প্রবাহিনী ঝরে পড়ছে ; তারই স্রোতের জলে মনের অভিষেক হোক ; ছোটো-বড়ো স্বন্দর-অসুন্দর সব নিয়ে তার মৃত্য। সেই প্রকাশধারার বেগ চিত্তকে স্পর্শ করলে চিত্তের মধ্যেও প্রকাশের বেগ প্রবল হয়ে ওঠে। স্মৃষ্টির লীলা চার দিকেই আছে, এই সহজ সত্যটি যদি আর্টিস্ট আজও আবিষ্কার করতে না পেরে থাকে, পুরাণকাহিনীর পুথির মধ্যে, প্রাচীন রাজপুতানার পটের মধ্যে, যদি সে দেখার জিনিস খুজে বেড়ায় তা হলে বুঝব, কলাসরস্বতীর পদ্মাসন তার মনের মধ্যে বিকশিত হয় নি। তাই সে সেকেগু-হ্যাণ্ড আসবাবের দোকানে নিজীব কাঠের চৌকি খুজতে বেরিয়েছে।