পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौठ-ब्रळ्नांबलौ তাকে আরোগ্যের অমৃত-ঔষধি দাও। ওগো আমার কপোতিক, আমার প্রাণপুত্তলি, বলো দেখি, আমার দুঃখ কে জানে। এমন পাষাণ চিত্ত কার, হে নারী, তোমাকে দেখে যার মন ভালোবাসায় না ব্যথিত হয় । বৃষ্টির পরে আকাশে-ছড়িয়ে-পড়া তারাগুলি জল জল করে, মনে হয় ব্যর্থ প্রেমের বেদনায় ওরা অভিভূত— আমার উষ্ণীষের ফুলও শিথিল হল সেই পীড়নে। তোমার কবরীর দিকে তাকিয়ে তারাগুলির এই দশা । ১৩৩৫ সালে কাতিকের বিচিত্রায় উপরের কবিতাটি ‘প্রেমাম্পদা’ নামে প্রকাশিত হয়। প্রথম পংক্তির "তুমি মুক্তা” স্থলে সেখানে “তুমি ভূষিতা।” পাঠ মুদ্রিত হয়। অনুবাদটি কবির কোনো কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয় নাই। ঐবিজয়লক্ষ্মী, বোরোবুদুর, সিয়াম— যাত্রীর জাভাযাত্রীর পত্র' অংশের এই কয়টি কবিতা পরিশেষ কাব্যে ( ১৩৩৯ ) গৃহীত হয়। রবীন্দ্র-রচনাবলীর পঞ্চদশ খণ্ডে কবিতাগুলি ইতিপূর্বেই মুদ্রিত হইয়াছে বলিয়া যাত্রীর বর্তমান সংস্করণে বজিত হইল। কিন্তু, রখীরে কহিল গৃহী উৎকণ্ঠায় উৰ্ব্বস্বরে ডাকি' এবং নন্দগোপাল বুক ফুলিয়ে এসে পঞ্চদশ খণ্ডের সংযোজনে সংকলিত হওয়া সত্ত্বেও, বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা-বশত যাত্রীর অন্তভুক্ত রহিল। পরবর্তীকালে, রবীন্দ্র শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে–‘বিশ্বযাত্রী রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থমালায় যাত্রী গ্রন্থের দুই অংশ দুইটি সচিত্র গ্রন্থের আকারে স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত— পশ্চিমযাত্রীর ডায়ারি (শ্রাবণ ১৩৬৮) ও জাভাযাত্রীর পত্র ( ফাল্গুন ১৩৬৭ )।