পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰীৰিকা פוף পউষের পালা হল শেষ, উত্তর বাতাসে লাগে দক্ষিণের কচিৎ আবেশ । হিমঝুরি শাখা-পরে চিকন চঞ্চল পাতা ঝলমল করে শীতের রোদরে। পাগুনীল আকাশেতে চিল উড়ে যায় বহুদূরে। আমলকীতলা ছেয়ে খসে পড়ে ফল, জোটে সেথা ছেলেদের দল । অঁাকাবাকা বনপথে আলোছায়া-গাথা, অকস্মাৎ ঘুরে ঘুরে ওড়ে ঝরা পাতা সচকিত হাওয়ার খেয়ালে । ঝোপের আড়ালে গলাফোলা গিরগিটি স্তন্ধ আছে ঘাসে । ঝুড়ি নিয়ে বারবার সাওতাল মেয়ে যায় আসে । আমার মাটির ঘরখানা আরম্ভ হয়েছে গড়া, মজুর জুটেছে তার নানা । ধীরে ধীরে ভিত তোলে গেথে রৌদ্রে পিঠ পেতে । মাঝে মাঝে স্বদূরে রেলের বাশি বাজে ; প্রহর চলিয়া যায়, বেলা পড়ে আসে, ঢং ঢং ঘণ্টাধ্বনি জেগে ওঠে দিগন্ত-আকাশে । আমি দেখি চেয়ে, ঈষৎ সংকোচে ভাবি– এ কিশোরী মেয়ে পল্লীকোণে যে ঘরের তরে করিয়াছে প্রস্ফুটিত দেহে ও অস্তরে নারীর সহজ শক্তি আত্মনিবেদনপরা শুশ্ৰুষার স্নিগ্ধজধা-ভরা,