পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি তার পরে মাল পাঁচেক গেছে ছঃখে স্বখে কেটে, হারাধনের খবর গেল জৌনপুরের স্টেটে । ইস্টেশনে নির্তাবনায় বসে অাছেল দাদা, কেমন করে কী যে হল লাগল বিষম ধাধা । গুর্থ ফৌজ সেলাম করে দাড়ালো চার দিকে, ইস্টেশনটা ভরে গেল আফগালে আর শিখে । ঘিরে তাকে নিয়ে গেল কোথায় ইটালিতে, দেয় কার! সব জয়ধ্বনি উবুছতে ফার্সিতে । সেখান থেকে মৈনপুরী, শেষে লছমন-ঝোলায় বাজিয়ে সানাই চড়িয়ে দিল ময়ুরপংখি দোলায় । দশটা কণহার কাধে লিল, আর পচিশটা কণহার সঙ্গে চলল তাহার । ভাটিণ্ডাতে দাড় করিয়ে জোরালো দূরবীনে দখিনমুখে ভালো করে দেখে নিলেন চিনে বিন্ধ্যাচলের পর্বত । সেইখানেতে খাইয়ে দিল কাচা অামের শর্বৎ । সেখান থেকে এক পহুরে গেলেন জৌনপুরে পড়ন্ত রোদছরে । এইখানেতেই শেষে যোগীলদাদা থেমে গেলেন যৌবরাজ্যে এসে । হেসে বললেন, “কী আর বলব দাদা, মাঝের থেকে মটর-ভাজা খাওয়ায় পড়ল বাধা ।” “ও হবে না, ও হবে না* বিষম কলরবে ছেলেরা সব চেচিয়ে উঠল, “শেষ করতেই হবে ।” ষোগীনদণ কয়, “ষাক গে, বেঁচে অাছি শেষ হয় লি ভাগ্যে । তিনটে দিন না যেতে যেতেই হলেম গলদঘর্ম । রাজপুত্র হওয়া কি, ভাই, যে-লে লোকের কর্ম ।